নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার দয়ারামদি গ্রামে পরকিয়ার জেরে নববধূকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আদালত আসামিকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী দায়রা জজ সালেহ আহমেদ এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত আসামি মনির হোসেন বাবুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের দয়ারামদি গ্রামের আলী আহম্মদ নতুন বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নোয়াখালী দায়রা জজ আদালতের পি,পি গুলজার আহমেদ জুয়েল। আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জুয়েল।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ মে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের দয়ারামদি গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে নববধূ নামজা আক্তার ওরফে নাজুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩০ এপ্রিল রাতে আসামি তার স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ওই দিন রাতে বাবু এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে। এরপর সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে বাবুকে আসমি করে কবিরহাট থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এজহারে বলা হয় তার বোনকে যৌতুকের দাবিতে হত্যা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আসামি বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কবিরহাট থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম পাটোয়ারী। অভিযোগ পত্রে বলা হয় যৌতুকের জন্য দাবিতে নয় একজন নারীর সাথে সম্পর্কের কারণে আসামি বাবু তার স্ত্রীকে হত্যা করে।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, বিয়ের পূর্বে থেকে বাবুর সাথে একই এলাকার মরিয়ম আক্তার পপি নামে এক নারীর প্রেম ছিল। এ পরকিয়া প্রেমের জের ধরেই নিহতের স্বামী নববধূকে হত্যা করে।
খুলনা গেজেট/ এস আই