পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। একটি বড় অর্জন। উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হবে। দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের আঞ্চলিক বৈষম্য কমে যাবে। নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপিত হলে এখানকার আর্থ সামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হবে।
খুলনার প্রবীন শিক্ষক ও নাগরিক নেতা অধ্যাপক জাফর ইমাম খুলনা গেজেটের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেন।
প্রবীন এই শিক্ষক বলেন, আগামী ২৫ জুন এ বাংলার মানুষের জন্য একটি মহেন্দ্রক্ষণ। এই দিনের জন্য অধীর অপেক্ষোয় রয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষ। এই দিনে স্বাধীন বাংলার স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের সাথে সাথে বদলে যাবে দেশের দৃশ্যপট। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে । রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের দূরত্ব কমে যাবে। আঞ্চলিক বৈষম্য কমে যাবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর জন্য আর্শীবাদ স্বরূপ। ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প পদ্মা সেতুর দ্বারা এগিয়ে যাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তন হবে। সেতু নির্মাণের কারণে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বেড়ে যাবে। সেই সাথে বাড়বে পায়রা বন্দরের গুরুত্বও। পদ্মার এপারে গড়ে উঠবে বিভিন্ন ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠান। সেতু উদ্বোধনের পর ওই সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান বাড়বে, বেকারত্ব কমবে। হবে আর্থ সামাজিক উন্নতি। পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতি সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন। এ বনকে ঘিরে রয়েছে রহস্য। তা জনার জন্য দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসছে পর্যটকরা। প্রতিবন্ধকতা পার হয়ে তাদের এখানে আসতে হয়। সেতু চালু হলে আর কোন সমস্যা থাকবেনা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বাড়বে। সেই সাথে বাড়বে দেশের রাজস্ব। পদ্মা সেতু একটি বহুমুখী সেতু। সুন্দরবনের সাথে জড়িত কর্মজীবীদের আয়ের উৎসও বেড়ে যাবে।