খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এবং খুলনা সিটি বাইপাস সড়কের সংযোগস্থল জিরো পয়েন্ট-এ বেহালদশা দীর্ঘদিনের। সংযোগস্থলে দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। এঅবস্থায় ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে জোড়াতালি দিয়ে কোন মতে সমান করার উদ্যোগ নিয়েছে সওজ।
চালু হলে জিরো পয়েন্ট দিয়ে যানবাহন চলাচল বহুগুনে বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভৌগলিক কারণে জিরো পয়েন্ট এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার সংযোগ সড়কগুলোতে সবসময় যানবাহনের চাপ লেগেই থাকে। রুপসা বাইপাস দিয়ে সকল যানবাহন জিরো পয়েন্ট ক্রস করে খুলনা শহর, সাতক্ষীরা, চুকনগর এবং যশোরের দিকে প্রবেশ করে। ২৬ জুন প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর জিরো পয়েন্ট দিয়ে যানবাহন চলাচলের মাত্রা বহুগুণে বেড়ে যাবে। জিরো পয়েন্ট থেকে রুপসা বাইপাসের দিকে যাওয়ার সড়কটি, একইভাবে সাতক্ষীরা, চুকনগরের দিকে যাওয়ার সড়কটি এবং বাইপাস হয়ে আফিলগেটের দিকে যাওয়ার সংযোগ সড়কগুলির অবস্থা খুবই নাজুক । সড়কগুলিতে কার্পেটিং নষ্ট হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সংযোগ সড়কগুলি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। তখন মরণফাঁদে পরিণত হয় সড়কগুলি। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন এবং পথচারীদের স্থানটি অতিক্রম করতে হয়।
জিরো পয়েন্টে যানবাহন চলাচলে নেই কোন শৃঙ্খলা। সংযোগ সড়কগুলিতে নেই কোন ট্রাফিক লাইট এবং ট্রাফিক পুলিশ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পুলিশ সদস্যদের জিরো পয়েন্ট দিয়ে যানবাহন চলচল শৃঙ্খলা আনায়নের চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।
এ দিকে ২৫ জুন বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে সামনে রেখে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) তাড়াহুড়ো করে গত মঙ্গবার (২১ জুন) থেকে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় সড়কের বড় বড় গর্তগুলো বালু এবং ইটের খোয়া দিয়ে ভরাট করে লেবেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জিরো পয়েন্ট দিয়ে যানবাহন চলাচলেও কোন শৃঙ্খলা নেই। জিরো পয়েন্টে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ইন্টারসেকশন নির্মাণের পরিকল্পণা নিলেও কবে নাগাদ বাস্তবায়িত হবে জানা যায়নি।