পদ্মা সেতু নির্মাণে যে ব্যয় হয়েছে, এই স্থাপনার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে তিন গুণ অর্থ যোগ হবে বলে হিসাব দেখিয়েছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডির একজন বিশেষ ফেলো।
তিনি জানিয়েছেন, এই সেতুর কারণে জিডিপিতে যোগ হবে মোট ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি ডলার। ডলারের বিপরীতে টাকার বর্তমান বিনিময় হারে এটি দাঁড়ায় ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যা পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের তিন গুণ।
দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটি নির্মাণে শেষ পর্যন্ত বরাদ্দ রাখা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের বিষয়। এটি শুধু সেতুই নয়, পদ্মা সেতু হবে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এই সেতুর ফলে আমাদের জিডিপিতে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব শীর্ষক অর্থনীতিবিদদের সংলাপে তিনি এ তথ্য দেন।
আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটি এই সংলাপের আয়োজন করে।
আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপির আকার ৪২০ বিলিয়ন ডলার। পদ্মা সেতুকে চিন্তা করতে হবে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে। এই সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ১৩টি দারিদ্র্যপীড়িত জেলার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পদ্মা সেতু থেকে যে টোল আদায় হবে তার চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে বিনিয়োগ।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বক্স, ড. জামালউদ্দীন আহমেদ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হকও।
উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।