বাল্কহেডের ধাক্কা নয়, পুরাতন এবং ওভারলোড থাকায় রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে গেছে বলে দাবি করেছে নৌপুলিশ।
ফরিদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আজ সকালে তলা ফেটে ৯টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে যায়। পরে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিটি অনেক পুরাতন এবং ওভারলোড থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ফেরিতে থাকা চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকের মালিক নাজমুল হোসাইন (৩৩) বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর নোঙর করা ফেরির পেছন দিয়ে পানি উঠতে থাকলে আমরা ফেরির লোকজনকে ডেকে বলি। কিন্তু তারা বিষয়টি তোয়াক্কা করেনি। তারা ইচ্ছা করলে ফেরিটি দ্রুত স্টার্ট করে তীরে নিয়ে যেতে পারতেন। ফেরিতে কোনো কিছু ধাক্কা দেয়নি। তলা ফেটেই ফেরিটি ডুবে যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাকচালকের সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, ফেরিওয়ালাদের গাফিলতিতে ডুবেছে। তারা ঘাট কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে ডুবেছে। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, এতটুকু তথ্য পেয়েছি যে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে গেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হুমায়ূন কবীর নামের ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক এখনো নিখোঁজ।
খুলনা গেজেট/এমএম