যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জ্যেষ্ঠ চারজন সহকারী পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে একে একে তারা পদত্যাগ করেন। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সদ্য পদত্যাগ করা এই চার ব্রিটিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন- বরিস জনসনের পলিসি প্রধান মুনিরা মির্জা, ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন জ্যাক ডয়লে, চিফ অব স্টাফ ড্যান রোজেনফিল্ড এবং সিনিয়র সিভিল সার্জেন্ট মার্টিন রেনল্ডস।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ভেঙে মদপার্টির আয়োজন নিয়ে এমনিতেই বিতর্কের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বেশ জোরেশোরে উঠেছে তার পদত্যাগের দাবিও।
সর্বশেষ জনসনের বিরুদ্ধে লকডাউনের মধ্যে নিজের জন্মদিনের পার্টি করারও অভিযোগ ওঠে। আর এবার এসব পার্টি নিয়ে সমালোচনামুখর রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার তার অন্যতম শীর্ষ চার সহকারী পদত্যাগ করলেন।
এদিকে কর্মকর্তাদের পদত্যাগের বিষয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিফ অব স্টাফ ড্যান রোজেনফিল্ড বৃহস্পতিবার প্রথমে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে তার উত্তরসূরী না পাওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
এছাড়া বরিস জনসনের প্রধান প্রাইভেট সেক্রেটারি ও সিনিয়র সিভিল সার্জেন্ট মার্টিন রেনল্ডসও উত্তরসূরী না পাওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। তবে এরপর তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বে নিযুক্ত হবেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবির অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন তার পলিসি প্রধান মুনিরা মির্জা।
৩০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০১৯ সালে ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসেন বরিস জনসন। চলমান করোনা মহামারিতে তিনি ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিকবার মদ্যপানের আসর বসিয়েছিলেন; যা নিয়ে দেশটিতে নিজ দলের পাশাপাশি বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
যদিও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসন বলেছেন, লকডাউনে মদ্যপানের পার্টির মাধ্যমে কোনো ধরনের আইনের লঙ্ঘন হয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম