২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী। বলা হয়ে থাকে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেয় আওয়ামী লীগ। শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়।
তবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর গত ১৯ আগস্ট পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট। ৩০ অক্টোবর যার চূড়ান্ত শুনানি হবে। এতে আইনি লড়াইয়ে নামছে বিএনপিও। এ সপ্তাহেই হাইকোর্টের আবেদন করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বিএনপির মহাসচিব দেশের বাইরে ছিলেন বলে আমরা হাইকোর্টের আবেদন করতে পারিনি। আশা করছি আগামী দুই-একদিনে মধ্যে আবেদন করতে পারবো।
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে হাইকোর্টে আইনি লড়াই করবে জামায়াতে ইসলামীও। তবে আগে ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি; নাকি পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টে লড়াই হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি ও জামায়াত।
এদিকে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করবে জাতীয়তা আইনজীবী ফোরাম। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা এ বিষয়ে আমরা দ্রুতই আপিল বিভাগে যাবো। এছাড়া যেসব মামলা রয়েছে সেসব নিয়ে আমরা পর্যায়ক্রমে আগাবো।
জিয়া অরফানেজে ৫ বছর ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৭ বছরের সাজা হয় বেগম খালেদা জিয়ার। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণে আপিল বিভাগে যাচ্ছে বিএনপি।
খুলনা গেচেট/কেডি