রংপুর আওয়ামী লীগের দুর্বলতা আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, রংপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যখন দুষ্কৃতিকারীরা ভাঙচুর ও আগুন দিলো, তখন দলীয় নেতাকর্মীরা ঘুরে দাঁড়ায়নি। পকেটে হাত দিয়ে ঘুমিয়ে থাকলে তারা আমাদের ঘরে ঢুকে মেরে ফেলবে। গতকাল দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সুসংগঠিতভাবে কোটা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ধ্বংস-নৈরাজ্য যারা চালিয়েছে তাদের উদ্দেশ্যেই ছিল রাষ্ট্রকে অকার্যকর করা, এমন প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। পুলিশ প্রথমে টিয়ার শেল, এরপর সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট এবং ছররা গুলি মেরেছে। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীরা অ্যানাউন্স করে আন্দোলনকারীদের বলেছে- এগুলোতে কিছু হয় না, এগিয়ে চলো। একদম যুদ্ধ ক্ষেত্রের মতো অবস্থা হয়েছিল। তারা আন্দোলনের সামনে ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে এসেছিল।
আওয়ামী লীগ কখনও দলীয় অফিস, থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেনি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। তাজহাট থানা, ডিসি ক্রাইম ও ডিবি অফিস, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, মহানগর শ্রমিকলীগ অফিস এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতুর গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল সেতু ভবনে।
সেখানে আগুন দেয়া হয়েছে। স্বপ্নের মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসের টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়া হয়েছে। আমি পুলিশ, আনসারসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই তারা জীবন বাজি রেখে দেশরক্ষায় কাজ করেছে। আমরা সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি করবো।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি এমপি, রংপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন, রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামান, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ ও ডিবি কার্যালয়, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস পরিদর্শন করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে