যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রায় নয় কোটি টাকার টেন্ডার রুখে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ছিনতাই করা হয়েছে বারটি দরপত্র। জমা দিতে পারেননি ১৬৭ জন ঠিকাদার। সোমবার সকালে মামুন ড্রাগস ও অপরাজিতা ড্রাগস কর্তৃপক্ষ দরপত্র জমা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে মারপিট করে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ উত্তেজনাপূর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, জেনারেল হাসপাতালের ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রীর টেন্ডার দাখিলের দিন ছিল সোমবার। এ টেন্ডারের জন্য মোট ১৮০টি দরপত্র বিক্রি হয়। কিন্তু এদিন জমা পড়ে ১৩টি। বাকি ১৬৭ জন ঠিকাদার তাদের দরপত্র দাখিল করতে পারেননি। টেন্ডার জমার কারণে এদিন সকাল ৮টা থেকেই হাসপাতাল চত্বরে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা শুরু হয়। ঠিকাদাররা হাসপাতালের অফিস কক্ষের সামনে রাখা টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিতে গেলে বাধ সাধে ওইসব সন্ত্রাসীরা। তারা জোরপূর্বক দরপত্র কেড়ে কেড়ে নেয় ও ছিড়ে ফেলে। অথচ টেন্ডার বক্সের পাশেই ডিউটিরত ছিল পুলিশ। তারা সবকিছু দেখেও অন্ধের মত বসে ছিলেন। টেন্ডারবাজরা ওইস্থানে প্রথমে ওষুধ সরবরাহকারী দুটি ঠিকাদারি ফার্ম মামুন ড্রাগস ও অপরাজিতা ড্রাগসের দরপত্র কেড়ে নিয়ে তাদেরকে মারপিট করে। একই সাথে তারা হাসপাতাল চত্বর থেকে ১২টি দরপত্র ঠিকাদারদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে। তবে দরপত্র ছিড়ে ফেলার আগে তাদের ব্যাংক ড্রাফট ফেরত দেয়। তারা হাসপাতাল চত্বরে অস্ত্রের মহড়াও দেয়। তারা শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের ঠিকাদার শিলুকে ধাওয়া দিয়ে হাসপাতাল চত্বর থেকে বের করে দেয়। এ অবস্থা দেখতে পেয়ে সরকারপন্থী অনেক ঠিকাদার তাদের সম্মান বজায় রাখতে দরপত্র দাখিল না করেই বাড়ি ফিরে যান।
পরবর্তীতে ঠিকাদাররা একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকতারুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।
এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতাল চত্বরে দরপত্র ছিনতাই সংক্রান্ত কোন বিষয় তার জানা নেই। দরপত্র বক্সের পাশে পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে। তবে কয়েকজন ঠিকাদার এ বিষয়ে তার কাছে অভিযোগ করেছেন। এ জাতীয় ঘটনা ঘটে থাকলে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড