নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধের সময়ে জেলা প্রশাসকের হলরুমে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুর সমর্থদের উপর হামলা করা হয়েছে। এ হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের সমর্থদের বিরুদ্ধে। সোমাবার দুপুর ১২ টার দিকে এ হমালার ঘটনা ঘটে। এ ঘাটনায় ৮ জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার সময়ে নড়াইল জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা ও পরে পুরুষ ওয়ার্ডের শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের হলরুমের পুর্বপাশে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশিপুর ইউুনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোসের সমর্থকরা তাদের মারপিট শুরু করে।
এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮জন আহত হয়। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের হলরুমের চেয়ার ভাংচুর করে। এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রতীক আনতে যান আমার প্রস্তাবকারী,সমর্থনকারী সহ আমার পক্ষের লোকজন। জেলার সর্বোচ্চ নিরাপত্তাস্থল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। এতে ৮জন আহত হয়।
আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সুবাস বোস বলেন, আমি আনারস প্রতিক চেয়েছি ওদিকে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ও আনারস চেয়েছে। তখন লিটুর লোকজন বলে ওঠে আমরা যদি আনারস না পাই তাহলে কেন এসেছি। এ কথা শোনার পরে আমার লোকজনের সাথে সামান্য হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর লোকজনের উপর হামলা ও হলরুমের চেয়ার ভাংচুরের বিষয়ে বলেন, প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
খুলনা গেজেট/এসজেড