নড়াইলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা ও ব্যবহারে নিষেধ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গত ২৮ জুন জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা জারি করেন।
এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধে ঈদুল আজহার ছুটির পর নবম-দশম ও একদাশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ওই চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি নড়াইলের ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এবং মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী ফেসবুকে উত্তেজনাকর পোস্ট দিয়েছে। ফলে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধে চারটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলা ও শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এসময় কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চারটি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
(১) মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।
(২) মোবাইল না আনার নির্দেশনাটি কঠোরভাবেবাস্তবায়নে জন্য শিক্ষকদের তৎপর থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ চেক করা যেতে পারে।
(৩) কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তা নিয়ে নেয়াসহ শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(৪) মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না আনার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ঈদের ছুটির পর নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ফেসবুকে পোস্ট করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ অভিযুক্ত ছাত্রকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিত করা হয়।
জেলা শিক্ষা অফিসার এস, এম, ছায়েদুর রহমান ছুটিতে রয়েছেন , তাকে বিভিন্ন সময়ে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।