খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

নড়াইলে চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

লোহাগড়া  প্রতিনিধি 

নড়াইলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চুরি হওয়া ৩৯ টি ল্যাপটপ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই মালসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। বুধ ও বৃহস্পতিবার তাদের নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে রেঞ্জ, ২ টি প্লাস, ৩ টি স্ক্রু ড্রাইভার ও নগদ ৮১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার শহিদুল ইসলাম (৩০), রিজু সরদার(১৮), সোবহান মোল্যা(৩৮), মতিউর রহমান রাসেল(৩৫), আরমান মোল্যা(২০) ও মাগুরা সদর উপজেলার বাসিন্দা নেপাল দাস(৩০)।

পুলিশ জানায়, গত ২৬ জানুয়ারি স্কুল বন্ধ থাকায় লোহাগড়া উপজেলার বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ টি ল্যাপটপ ও ১৫ টি ল্যাপটপ চার্জার চুরি হয়। এ চুরি মামলার কার্যক্রম তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ মার্চ একই ধরনের অপর একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সদর থানায় চুরি মামলা দায়ের করা হয়।

দু’টি মামলার চুরির ধরণ ও প্রকৃতি একই রকম হওয়ায় নড়াইল পুলিশ সুপার জেলা পুলিশের একাধিক ইউনিটকে নিবিড়ভাবে মামলা দুটি ছায়া তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলা দুটি তদন্তকালে ১৭ মার্চ নড়াইল সদর উপজেলার চাকই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও হবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস চুরির আরও দুটি ঘটনা ঘটে।

নড়াইল জেলার বিভিন্ন স্কুলে এসব চুরির ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মাঠে নামে জেলা পুলিশের একাধিক টিম এবং তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় জেলা পুলিশ। চোরাই মাল পরিবহনের জন্য গ্রেপ্তার নেপাল দাস তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করত এবং চোরাই মালামাল বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উল্লিখিত আসামিরা এ ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কাথা স্বীকার করেছে।

জেলা পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, চার্জার, ৭২ টি সিলিং ফ্যান, ৪ টি প্রজেক্টর, ৩ টি প্রিন্টার, ১ টি স্ক্যানার, ১৬ টি মিনি সাউন্ড বক্স, ২ টি কম্পিউটার বক্স, ৩ টি কী বোর্ড, ২ টি মাউস এবং ১০ টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া ঘর ভাঙ্গার উপকরণ হিসেবে অনেক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!