নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় অন্যতম আসামি নুর নবীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার (৬ জুলাই) নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এই আদেশ দেন।
এর আগে ৩ জুলাই রাতে তাকে যশোর থেকে গ্রেপ্তার করে নড়াইল জেলা পুলিশ। ৪ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আমাতুল মোর্শেদা কারাগারে পাঠাবার আদেশ দেন এবং ৬ জুলাই রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত অপর ৪ আসামির প্রত্যেককে ৩ দিনের করে রিমান্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। এই মামলায় মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুরসালিন ২৭ জুন বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১৭০/১৮০ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় অন্যতম আসামি নুরনবীকে (৩৭) রবিবার(৩ জুলাই) রাত ১০ টারদিকে যশোর সদরের মনিহার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত নুরনবী সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের কারিগর পাড়ার মৃত ফয়েজ চৌকিদারের ছেলে। সে পেশায় একজন ভাড়ায়চালিত মটর সাইকেল চালক। ১৮ জুনের শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনার ভিডিও ফুটেজে তাকে জড়িত থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দেওয়ার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৮ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। এ মামলায় এখন প্রযর্ন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই