খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

নড়াইলের কালিয়ায় সর্দি-জ্বর ও শরীর ব্যথার রোগী বাড়ছে

লোহাগড়া প্রতিনিধি

দেশে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে সাথে হাড়কাঁপানো শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে নড়াইলের কালিয়ার গ্রাম গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে সর্দি-জ্বর ও শরীরে ব্যথা। প্রতি দিনই বাড়ছে ওই সব রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে উপজেলার অসংখ্য মানুষ ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে।

জ্বরাক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে তারা করোনা পরীক্ষা করতে নারাজ। আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক।

কালিয়া হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, দেশে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে উপজেলার গ্রাম গুলোতে সর্দি-জ্বর ও শরীরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছেন রোগীরা। তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই করোনার পরীক্ষা করতে রাজি হচ্ছেন না। তবে গত ১০ দিনে ৪৪ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত বেশীরভাগ মানুষই স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক ও পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তারা সুস্থ্য হয়ে উঠছেন।

উপজেলার কলাবাড়িয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক এসকে মুফিজুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে তারা প্রতিদিনই প্রায় ১০/১৫ জন সর্দি-জ্বর ও শরীরে ব্যথা নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। আর ওইসব রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরাও পর্যায়ক্রমে অক্রান্ত হচ্ছেন। তবে বেশীর ভাগ রোগীই অল্প সময়ের চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৬৫ ভাগ পরিবারের কোন না কোন মানুষ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন বলে তাদের ধারণা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক উপজেলার গ্রাম গুলোতে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘সর্দি-জ্বর আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বেশীর ভাগ রোগী স্থানীয় ভাবে পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর অল্প সংখ্যক রোগী হাসপাতালে আসলেও তারা নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজি হন না। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!