ঈদুল আজহা ঘিরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান ‘কঠোরতম’ বিধিনিষেধের মধ্যে শ্রমিকদের ঢাকায় আসার সুবিধার্থে গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
শনিবার সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে ১ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে শ্রমিকদের জন্য লঞ্চসহ যাত্রীবাহী সব নৌযানও চালু করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এই মুহূর্ত থেকে আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেহেতু ১ আগস্ট থেকে শিল্পকারখানা চালু হচ্ছে। তাই শ্রমিকদের যাতায়াতের কথা বিবেচনা করে লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানার মালিকদের অনুরোধে রোববার থেকে শিল্পকারখানা চালুর অনুমতি দেয় সরকার। এরপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন শ্রমিকেরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যে যেভাবে পারছে ঢাকায় ছুটছে।
গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার কারণে করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে কর্মজীবী নারী-পুরুষ বাস-ট্রাকে গাদাগাদি করে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ওঠে কর্মস্থলে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে লকডাউন মানাতে।
রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় ঢাকায় কিংবা কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না মানুষ। ফলে যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন। দীর্ঘ লকডাউনে বেকার হয়ে পড়া গার্মেন্টস কর্মী, রিকশা শ্রমিক, কারখানার শ্রমিকরা লকডাউন উপেক্ষা করে স্রোতের মতো নিজ কর্মস্থল ঢাকার দিকে ছুটছে।
উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন আরোপ করে সরকার। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।এরপর ঈদুল আজহা উপলক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে শিথিল করা হয় ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত।
একইসঙ্গে ২৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।যা এখনো চলমান।এই সময়ে সবকিছু বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।গণপরিবহণ, লঞ্চ, ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি