পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারা দেশে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দে মেতেছেন মানুষ। তবে অনেকেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের সুযোগ পাননি। তাদের ঈদ কাটছে কর্মব্যস্ততায়। বিশেষ করে সাংবাদিক সদস্যদের কেউ ঈদগায়ে বা কেউ অফিসে কেউ বা বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঈদ উদযাপন করছেন। যথাযথ সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন বিভিন্ন সংবাদ।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে সরেজমিনে দেখা যায়, মানুষ যখন ঈদের জামাতে অংশ নিতে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করছেন তখন সাংবাদিক সদস্যরা কেউ ব্যস্ত ছবি নিতে কেউ বা যাচ্ছেন সরাসরি লাইভে । মানুষ যখন পরিবার-পরিজন নিয়ে নামাজ পড়তে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা তখন মানুষের সেই আনন্দঘন দৃশ্যটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে ব্যস্ত।
খুলনার সময় টিভির প্রতিনিধি তানজীম আহমেদ খুলনা গেজেটকে বলেন, আমাদের পেশাটা আসলে নেশার মত। গত কয়েক বছর ধরেই ঈদের দিনে পেশাগত কাজে বাইরে থাকি। মানুষের ঈদ আনন্দ খুব কাছ থেকে দেখি। অনেকের সুখদুঃখের কথা শুনি। সেই গল্প তুলে ধরি। এসবের মধ্যেই আসলে নিজের ঈদ আনন্দ খুঁজে পাই। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা কিছুটা মন খারাপ করে। কারণ ঈদে সব ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবরা গ্রামে আসে। আড্ডা-আনন্দ, খেলাধুলা করে। সেখানে থাকতে না পারলেও সহকর্মীদের সাথে কাটানো ঈদ এবং কাজ বেশ উপভোগ করি।
খুলনায় কর্মরত চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপার্সন জাকারিয়া হোসেন তুষার বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যেখানে অন্যের সুখের মুহূর্তগুলো তুলে আনতে গিয়ে নিজের সুখের মুহূর্তগুলো চাপা পড়ে যায়। ঠিক তেমনি অন্যের কষ্টে নিজের কষ্ট বিলীন হয়ে যায়। ঈদের দিন পরিবারকে সময় দিতে না পারায় কষ্ট লাগে। তবে সাংবাদিকতা দায়িত্বশীল পেশা। যেখানে কষ্ট নয়, কাজটিই বড়।
ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক মোহাম্মদ মিলন খুলনা গেজেটকে বলেন, আমাদের অনলাইন পোর্টাল। এখানে সবসময় নিউজ আপডেট করতে হয়। একটা নিউজ যখন আমরা পাঠায় তখন সেই নিউজটির নির্ভুল তথ্য মানুষের সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করি। যার জন্য সময়ের প্রয়োজনে দিন-রাত যেকোনো সময় বের হতে হয়। তবে হ্যা কাজের জায়গাটাকে আমি আমার দ্বিতীয় পরিবার মনে করি। প্রিয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভালোবাসায় আমাকে কাজে অনুপ্রাণিত করে। তাই জন্য ঈদের আনন্দ দুই জায়গায় সমান ভাবে উপভোকরতে পারি ।
খুলনা গেজেট/এএজে