গ্রেপ্তার নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে নগরীতে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দুপুর ১২ টায় মিছিল করেছে। মিছিলটি কোর্ট সংলগ্ন স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে কেসিসি মার্কেট গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা কোর্ট এলাকায় এসে সমাবেত হন।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনার প্রতিবাদে কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগর বিএনপি বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। যেটি পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় পন্ড হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪১ জন নেতাকর্মীকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ ৮০০ জন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করে পুলিশ। শুক্রবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ১২ জন নারী নেত্রী জামিন লাভ করে। বাকী ২৯ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আজ রোববার কারাগারে থাকা ২৯ জন নেতাকর্মীর জামিন শুনানীর দিন ধার্য রয়েছে। সকাল ১১ টার দিকে জামিন প্রার্থনা করা হয়। কিন্তু বিচারক জামিন শুনানীর সিদ্ধান্ত পরে জানাবেন বলে জানানো হয়।
আসামি পক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেন এড. মোমরেজুল ইসলাম, এড. মঞ্জুর আহমেদ, এড. মাহফুজুর রহমান মফিজ, এড. কেএম শহীদুল আলম, এড. তৌহিদুর রহমান তুষার ও এড. আসাদুল আলম।
এদিকে শনিবার রাতে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশী চালায় এবং ২ জন নেতাকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন, সোনাডাঙ্গা থানা যুবদল নেতা সাইফুল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ইবনুর রহমান ইমুল।
এদিকে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, স ম আব্দুর রহমান ও এড নুরুল হাসান রুবা, খান জুলফিকার আলী জুলু , মোল্লা খায়রুল আলম, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম, আশরাফুল আলম নান্নু, শামীম কবীর, তৈয়েবুর রহমান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী ও চৌধুরী হাসানুর রশীদ মেরাজ।