খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত গ্রেপ্তার

নেই নথিতে নাম-ঠিকানা তবুও টানছেন মামলার ঘানি

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

মামলার নথির সাথে নাম ঠিকানার কোন মিল না থাকলেও আসামি হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এক দিনমজুর ভ্যান চালক। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু মামলার নথির সাথে নাম ঠিকানার কোন মিল না থাকায় তাকে জামিন দেয় আদালত। জামিন পেলেও মামলা থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত মিথ্যা মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে তাকে।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মালী জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর গ্রামের পিতা নুর আলী খাঁ ও মাতা নেকজান বেগমের ছেলে মোঃ আজিজুল ইসলাম খাঁ। সে একজন দরিদ্র ভ্যান চালক। ভ্যান চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে সংসার চলে। কিন্তু কিছুদিন আগে পুলিশ তার বাড়িতে এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরে দেখা যায় তার নামে চেকের মামলা হয়েছে। তার নিজের নামে কোন ব্যাংক একাউন্ট না থাকলেও এবং মামলার নথির সাথে নাম ঠিকানারও কোন মিল না থাকলেও তিনি এখন মামলার আসামি।

মামলার নথিতে লেখা আছে মোঃ আজিজুর রহমান, পিতা মোঃ নুর আহমাদ(মোহম্মদ) মাতা মৃত ফাতেমা বেগম, সাং স্থায়ী গ্রাম/বাসা খুকনগর,ডুমুরিয়া, খুলনা। অথবা গ্রাম বাবুলিয়া, পোঃ বাবুলিয়া, সাতক্ষীরা সদর, সাতক্ষীরা। যা উপরোক্ত নাম ঠিকানার সাথে কোন মিল নেই। মামলার বাদী নিটল মটরস্ লিঃ এর আইন কর্মকর্তা ও মোঃ বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোঃ আলী হোসেন। পৃথক ১৬০২/২১ ও ১৬০৪/২১ দুটি চেকের মামলায় তার কাছে ১৬০৫১ টাকা করে পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলাম খাঁ বলেন, ‘আমরা মুর্খ মানুষ। ব্যাংক একাউন্ট কি তা আমরা বুঝি না। মামলার নথির সাথে আমার নাম ঠিকানার কোন মিল না থাকলেও পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে চালান দেয়। কিন্তু মামলার নথির সাথে আমার নাম ঠিকানার কোন মিল না থাকায় আদালত আমাকে জামিন দিয়েছে। তবে আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে চাই।’

এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন, ভ্যান চালক আজিজুল ইসলাম খাঁ বিষয়টি নিয়ে পরিষদে আসলে তিনি তদন্ত করে দেখেছেন তার নাম ঠিকানার সাথে মামলার নথির নাম ঠিকানার কোন মিল নেই। শুধুমাত্র দিনমজুর ভ্যান চালক মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!