রাজধানীর খিলক্ষেতে নিয়ন্ত্রণ হারানো জিপ গাড়ির চাপায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে খিলক্ষেত বাজার যাত্রীছাউনি সংলগ্ন প্রধান সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শিশু ইয়াসিন (৯), উজ্জ্বল পান্ডে (২৬) ও আমরিন (৩০) নামে এক নারী। এছাড়া দুর্ঘটনায় শিশু ইয়াসিনের বাবা মো. সুমন (৩৫) ছাড়াও রিয়াদ (২৭) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খিলক্ষেত থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি। পরে আহতদের প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। দুর্ঘটনার পর জিপ গাড়িটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। বিস্তারিত জানতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে, নিহত উজ্জ্বল পান্ডের শ্যালক সবুজ কির্তনীয়া জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানার কাজীপাড়া গ্রামে। উজ্জ্বল বর্তমানে ভাটারা নতুনবাজার এলাকায় থাকতেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তবে খিলক্ষেতে কেন গিয়েছিলেন, তা জানাতে পারেনি সবুজ।
অন্যদিকে, আহত সুমনের বাবা মো. মফিজ (ইয়াসিনের দাদা) জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া গ্রামে। সুমন মোহাম্মদপুর পাবনা হাউজ গলিতে পরিবার নিয়ে থাকেন। মফিজ নিজে খিলক্ষেত ১৩ নম্বর রোডে একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। বিকেলে ছেলে সুমন ও নাতি ইয়াসিন খিলক্ষেতে তার কাছে গিয়েছিলেন দেখা করতে। পরে সেখান থেকে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি জানতে পারেন, সড়ক দুর্ঘটনা তার নাতি ইয়াসিন মারা গেছে। পরবর্তীতে হাসপাতালে গিয়ে আহত অবস্থায় পান ছেলে সুমনকে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, খিলক্ষেত থেকে ৩ জনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে এদের মধ্যে উজ্জল নামে একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে রিয়াদ ও সুমন নামে দুইজন ঢামেকে ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।