খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৫৪
  দ্রুতই সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় স্থায়ীভাবে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

খুলনায় নিস্ত্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর বিএনপি, ১০ জনকে শোকজ বহিষ্কার ১

এ এইচ হিমালয়

চূড়ান্ত আন্দোলনে নেতাদের সক্রিয় করতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএনপি। নিস্ক্রিয় নেতাদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির ১০ নেতাকে শোকজ এবং ডুমুরিয়ার একজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব পাওয়া না গেলে শোকজপ্রাপ্ত কয়েকজনকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নিস্ক্রিয় নেতাদের তালিকা তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এতথ্য।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের আগের দিন থেকে খুলনায় ধরপাকড় শুরু হয়। এরপর খুলনা জেলা ও নগরীর ১৭টি থানায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে প্রায় দুই ডজন মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রায় ৫৫০ নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছেন অধিকাংশ নেতা। যার কারণে হরতাল-অবরোধ, এমনকি ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচিতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। গত দুই সপ্তাহ ধরে খুলনা মহানগর বিএনপির কয়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের কর্মসূচির সমর্থনে ঝটিকা মিছিল করতে দেখা যায়। কর্মসূচি দিয়ে মাঠে না নামায় সমালোচনা চলছে দলটির নেতাদের নিয়ে।

এ অবস্থায় কেন্দ্রের নির্দেশে নিস্ক্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি। গত ১১ ডিসেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে নিস্ক্রিয় থাকায় জেলা বিএনপির ৮ নেতাকে শোকজ করা হয়। তারা হলেন রূপসা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, ডুমুরিয়া উপজেলা আহবায়ক মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, তেরখাদা উপজেলা সভাপতি চৌধুরী কওসার আলী, কয়রা উপজেলা আহবায়ক মোমরেজুল ইসলাম, দাকোপ উপজেলা আহবায়ক অসিত কুমার সাহা, ফুলতলা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. সেলিম সরদার, তেরখাদা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল হোসেন এবং ফুলতলা উপজেলা সদস্য সচিব মো. মনির হাসান টিটো।

পরদিন চলমান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করায় ডুমুরিয়ার ধামালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হককে দলের সকল পদ-পদবী থেকে বহিষ্কার করে জেলা বিএনপি।

একইভাবে ১৩ ডিসেম্বর নগরীর খালিশপুর থানা বিএনপির আহবায়ক শেখ জাহিদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিশ^াসকে ১৩ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় মহানগর বিএনপি। শোকজের চিঠিতে নিস্ক্রিয় থাকার উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, দলের পদধারী কিছু নেতার নিস্ক্রিয় থাকার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জিরো টলারেন্স। তিনি নিজেই বিষয়টি মনিটরিং করছেন। সে কারণে তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হবে। তিনিই পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গত দেড় মাসের আন্দোলন কর্মসূচিতে ঘুরে ফিরে কয়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়। খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই কর্মসূচিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। এমনকি ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন কর্মসূচিতেও যাননি বেশিরভাগ নেতা। নিস্ক্রিয় এসব নেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সক্রিয় কর্মীদের।

এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আন্দোলনের কৌশল হিসেবে নেতারা আত্মগোপনে থেকেই কর্মসূচি সফল করতে ভূমিকা রাখছেন। কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। যারা সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয় এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন না-তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/হিমালয়




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!