অতীতে কোনো স্বৈরাচার সরকার জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ঠেকাতে পারেনি। বর্তমান সরকারও পারবে না ইনশাআল্লাহ উল্লেখ করে খুলনা বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একজন জনপ্রিয় নেতা। তাঁর নেতৃত্বে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন যৌক্তিক পর্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় শেখ হাসিনার সরকার একটি ফরমায়েশি রায় দিয়েছে। শুধু তারেক রহমান নয়, তার স্ত্রী এই দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধেও রায় দিয়েছে। যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং দেশের মানুষের কাছে তাদের ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ সাজার রায় দেয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাবেদার সরকারের দায়েরকৃত ১ লাক্ষ ৪৭ হাজার মামলায় বিএনপির ৪৭ লক্ষ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। সরকারের আজ্ঞাবহ বিচার বিভাগের অবৈধ রায় দেয়ায় ধিক্কার জানিয়ে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান বক্তারা। হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে না, এই নির্বাচন কমিশন থাকবে না। অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন অচিরেই হবে। জনবিস্ফোরণের মুখে সরকার পালাতে বাধ্য হবে; সবকিছু এলোমেলা হবে যাবে। সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমান এর বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় রায় ঘোষনার প্রতিবাদে শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকাল ৪টায় খুলনা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, জনবিচ্ছিন্ন সরকার রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশে বাস্তবায়নে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে ভূমিকা রাখার পরিবর্তে আওয়ামি লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যস্ত। জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা যাবে না। মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। আন্দোলন-কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবৈধ, লুটেরা, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে। অস্তিত্ব রক্ষায়, দেশের স্বার্থে সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানের সভাপতিত্বে মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মজিবর রহমান, আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, সাইফুর রহমান মিন্টু, বেগম রেহানা ঈসা, এস এ রহমান বাবুল, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শামীম কবীর, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, সামছুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, মেজবাহ উল আলম, হাসানুর রশিদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আবু মো. মুশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, এড. মাসুম রশিদ, একরামুল কবির মিল্টন, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, এড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, গাজী আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, রাহাত আলী লাচ্চু, আলমগীর হোসেন, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, মাসুদ খান বাদল, এম এ ওহাব, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান আসাদ, মতলুবুর রহমান মিতুল, যুবদলের নেহিবুল হাসান নেহিম, এবাদুল হক রুবায়েত, আব্দুল্লাহ হেল কাফি সখা, আব্দুল আজিজ সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রুনু, শফিকুল ইসলাম শাহিন, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজিব, আদনান ইসলাম দ্বীপ, মহিলাদলের এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, সেতারা সুলতানা, আনজিরা খাতুন, ছাত্রদলের ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, তাজিম বিশ^াস প্রমূখ।
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগে বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ওয়ার্ড বিএনপির ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে সামনে জড়ো হয়। সমাবেশস্থলে দাড়িয়ে অবৈধ রায় প্রত্যাহার ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
খুলনা গেজেট /কেডি