খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

নির্বাচনের আগেই তৃণমূল বিএনপি-বিএনএমে অস্থিরতা

গেজেট ডেস্ক

‘তৃণমূল বিএনপি’ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ার পরপরই মারা যান দলের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এরপর দলটির কর্তৃত্ব বদল হয় কয়েক দফা। এখন বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী দলের চেয়ারপারসন ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকার মহাসচিব হয়ে তৃলমূল বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর নাজমুল হুদার মেয়ে এড অন্তরা হুদা দলের নির্বাহী চেয়ারপারসনের দায়িত্বে।

সংসদের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত সেই প্রস্তুতি দৃশ্যমান নয়। প্রয়াত নাজমুল হুদার ল চেম্বারেই চলছে তৃলমূল বিএনপির কার্যক্রম। যে রুমটিতে মনোনয়ন বিক্রি ও গ্রহণ করা হচ্ছে তার চারিদিকে আইনী বইয়ে ভরপুর। প্রথম রুমটির দেয়ালে টানানো বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে নাজমুল হুদার বেশকয়েকটি ছবি। অন্য রাজনৈতিক দলের কোনো হেভিওয়েট নেতাকেও এখন পর্যন্ত দলটিতে ভিরতে দেখা যায়নি। তবে হুজুগে এমপি হওয়ার স্বপ্নে সস্তা দামে মনোনয়ন কিনতে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আনারি রাজনীবিদদের।

দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার পরিবারের সাথে নতুন নেতৃত্বের আসন নিয়ে জটিলতার খবর এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এমনকি তৃণমূল বিএনপির নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে হুদা পরিবার। অভিযোগ উঠেছে, বাবা নাজমুল হুদার আসন ঢাকার দোহার বাদ দিয়ে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হতে চাপ দেয়া হচ্ছে অন্তরা হুদাকে। ফলে গত শনিবার তৃণমূলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলেও শেষ দিন বিকেলে অপরিচিত রাজনীতির মাঠ মুন্সীগঞ্জ-১ থেকে মনোনয়ন ফরম তোলেন তিনি। দলের মহাসচিব বলছেন, দলে অন্তরা হুদাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

এদিকে বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা কয়েক নেতা রয়েছেন বিএনএমের নেতৃত্বে। দলটির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেনকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করায় চলছে বিতর্ক। তার অভিযোগ, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে কেন্দ্রীয় কমিটির ৭/৮ জন নিয়ে কাউন্সিল করা হয়েছে। এই দলের ভবিষ্যৎ দেখছেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভুল ত্রুটি ক্ষোভ ভুলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।

তফসিল ঘোষণার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মনোনয়ন বিক্রি শুরু করতে পারেনি দলটি। গুলশান ২ এর নতুন অফিসে চলছে ডেকোরেশনের কাজ। এরমধ্যেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক লোক জড়ো হয়েছেন মনোনয়ন ক্রয় করতে।

৬ দলের সমন্বয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নেতৃত্বে একটি জোট দুই শতের বেশি মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি করেছে। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও জোটের প্রার্থীদের উপর নির্ভর করছে মোট কতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে পারবে। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ নিলে আরো ভালো হতো।

তৃণমূল বিএনপিকে কিংস পার্টি আখ্যা দেয়ার আগে বিএনপির জন্ম দেখতে বললেন তৈমুর আলম খন্দকার। আর শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেলেন-এটা অপবাদ।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!