রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত এক জন নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষে নিহত সজিবুর রহমান ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটির সদস্য।
নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহীনুর রহমান ও কাপ্তাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ওমর ফারুক জানিয়েছেন, রাতে আহত অবস্থায় চার জনকে হাসপাতালে আনলে সজিবুর রহমান মারা যান, বাকি তিন জনের চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের বাইরে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছে, জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত সজিব আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের সমর্থক। লতিফ এবার আবারো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন পাটোয়ারি বাদল। মঙ্গলবার রাতে নতুন বাজার এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় ভারি কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করায় গুরুতর আহত হন সজিবুর রহমান ওরফে সজিব মেম্বার। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দশদিন আগে গত ১৭ অক্টোবর এই উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রতিবেশী চিৎমরম ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। ওই ঘটনার পর ইউনিয়নের নির্বাচন পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। কাপ্তাইয়ের বাকি তিন ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ এই ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আগেই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এটি পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। আমি এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।
পুলিশের কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব জানিয়েছেন, বাজারে চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে, পরে সজিবুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় চার জনকে পুলিশ আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই