গত ২১ নভেম্বর আদালতের আদেশে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় মাস ধরে পদটি নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে।
নিপুণের দায়িত্ব পাওয়ার পরই রোববার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পী সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দ্বন্দ্ব-বিরোধ ভুলে অংশ নেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে জয়লাভ করা ডিপজল ও রুবেলসহ অন্যরা। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণের পক্ষ থেকে তাদেরকে আগেই চিঠির মাধ্যমে সভায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তারা এফডিসিতে আসেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নিপুণকে বরণ করে নেন। এছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও অভিনেতা আলীরাজ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রিয়াজ, অঞ্জনা, সাইমন, ইমন, জয় চৌধুরী, শাহনূর, কেয়া, জাদু আজাদ প্রমুখ।
সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আজ অত্যন্ত ভালো লাগছে যে, সবাই আছে। এটাই আমি চেয়েছিলাম। কিছু করতে না পারলে আমি কোনো দায়িত্ব নিতে চাই না। আমার খুব কষ্ট লাগছিল যে, নয় মাস পার হয়ে গেছে, যতটুকু করার ইচ্ছে তা করতে পারছিলাম না। একটা যন্ত্রণা, ক্ষোভ কাজ করেছে। আজ সেই যন্ত্রণার অবসান হয়েছে।
নিপুণ বলেন, আদালত জানিয়েছেন, নিপুণের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই। তাই মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সমিতির কার্যক্রম গতিশীল করা আমার দায়িত্ব। সদস্যরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তাহলে তাদের কাছে কী জবাব দেব?’
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন নিপুণ ও জায়েদ খান। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়লাভ করেন জায়েদ। এরপর পুনর্গণনাতেও তিনি জয় পান।
পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ। সেই প্রেক্ষিতে পদটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে।
এরপর জায়েদ খান আদালতে রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আবার নিপুণ আপিল করেন। সব মিলে পদটি নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেয়।
খুলনা গেজেট/ এমএম