খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ মাঘ, ১৪৩১ | ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বাংলাদেশের মতো তরুণ নেতৃত্বকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে, আর্থিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহবান: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ড. ইউনূস
  সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
  ইতালির রোম থেকে ছেড়ে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, নিরাপদে অবতরণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে

নিজের জন্য নয়, মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপলক্ষে কোটালিপাড়ায় এক মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভার শুরুতে দলীয় প্রধানের নির্দেশে কোটালিপাড়ার ১২টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় তারা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর গত এক বছরে তারা যে সুবিধা পেয়েছেন তা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে স্বপ্নের এই সেতু নির্মাণে সাহসী ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানান।

কোটালিপাড়ার নেতারা বলেন, এলাকার জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছে। নির্বাচন বিরোধী সব অপতৎপরত নস্যাৎ করতেও তারা প্রস্তুত বলেও জানান কোটালিপাড়াবাসী।

এর আগে শনিবার(১জুলাই)সকাল সাড়ে এগারোটায় পদ্মাসেতু হয়ে কোটালিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এসময় ভবন প্রাঙ্গণে তিনটি চারা রোপণ করেন। এর মধ্যে একটি আম, একটি নিম ও একটি বকুল গাছের চারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা চাইনি আওয়ামী লীগ কোন দিন ক্ষমতায় আসুক। এদেশের মানুষ আবার পেট ভরে ভাত খাক।মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক। রোগে চিকিৎসা পাক,শিক্ষা পাক, তাদের প্রতি আমাদের চ্যালেঞ্জ। এই দেশ আমার বাবা স্বাধীন করেছেন। আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেটা আমি করবো। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা,অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা এটাইতো আমাদের লক্ষ্য।সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো পদ্মা সেতু। মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিলো। নিজের ভাগ্য তো গড়তে আসিনি। নিশ্চিয় বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। তারপরও যে অপবাদ দিয়েছে, তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারা যুগিয়েছেন। কোটালীপাড়াবাসী আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকে আপনারাই আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার নির্বাচন আমার সব কিছুই আপনারা দেখেন। আমার টুঙ্গিপাড়া কোটালীপাড়ার মানুষ গুলোই তো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আজকে সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। যারা বাংলাদেশের কোন ভালই দেখে না চোখে। যারা দেখে না চোখে, চোখ থাকতে যারা অন্ধ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নাই। তারা দেখে না,কিন্তু ভোগ করে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন, অনলাইন। সবাই সারা দিন কথা বলে।এতোগুলো টেলিভিশন দিয়ে দিয়েছি। সারাদিন কথাবার্তা বলে তারপর যদি বলে কিছুই বলতে পারি না, কথা বলার অধিকার নাই। সব বলেই বলে কথা বলার অধিকার নাই। এদের ব্যাপারে করুণা করা ছাড়া আর কিছুই নাই। আমরা তাদের করুণাই করি।

শেখ হাসনা বলেন, আমাদের ফসল আমাদেরই ফলাতে হবে। আমাদের খাদ্য চাহিদা আমরা পূরণ করবো।আর যা উদ্বৃত্ত থাকে তা বরং অন্যদের দিতে পারবো। সেটাই আমরা করবো।খাদ্য সংরক্ষণের আমরা ব্যবস্থা করছি। আমরা প্রত্যেক এলাকায় এলাকায় খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিবো। যা যা সহযোগিতা করার আমরা করবো।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে গেছেন।তাঁর স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমার লক্ষ্য। আজকে হতদরিদ্র মাত্র ৫ ভাগ, সেটাও যেন না থাকে, তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। একজনও হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। প্রত্যেকেরই একটি ঘর, জমি আর জীবন জীবিকার ব্যবস্থা ইনশাল্লাহ আমরা করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিণিক থেকে ওষুধ দিচ্ছি। শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি।স্কুল গুলিকে আমরা নতুন ভাবে তৈরী করে দিচ্ছি। পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছি। বৃত্তি দিচ্ছি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আমরা বৃত্তি দিবো।বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা,দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

যারা আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সম্প্রদায় যার যার ধর্মীয়ভাবে আপনারা সৃষ্টির কর্তার কাছে কামনা করবেন এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে আমরা চলবো। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমরা চাই।

নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় করতে শনিবার(০১ ও ০২ জুন) দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আগামীকাল রোববার(০২ জুন) টুঙ্গিপাড়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মত বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘরের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!