বগুড়ার নিখোঁজ দুই বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন– কোথায় কী অবস্থায় আছেন, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ জানুয়ারি পুলিশের আইজিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে রিট শুনানির সময় আদালত বলেছেন, ‘কোনো নাগরিক নিখোঁজ হলে তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। এক ঘণ্টাও মানুষের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান হারানোর ব্যথাটা কত কষ্টের– তা পরিবারই জানে।’
এই দুই নেতার পরিবার অভিযোগ করেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে, সেখানে বিকেল ৫টার দিকে বগুড়ার কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হৃদয়কে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন তুলে নেয়। এরপর দুপচাঁচিয়া সদরে নিয়ে তার ফোন থেকে কল করে একই উপজেলা বিএনপির ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে ডেকে এনে তুলে নেওয়া হয়। এরপর থেকে দুজনের কোনো হদিস মিলছে না।
পরিবারের দাবি, তাদেরকে তুলে নেয়ার ঘটনা অস্বীকার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর পর গত ২৬ ডিসেম্বর এই দুই ব্যক্তির সন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস রিট করে এই দুই নেতার পরিবার।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেন এবং মন্তব্য করেন।
একইসঙ্গে দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না– তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও বগুড়ার কাহালু থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী।
খুলনা গেজেট/কেডি