নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৬ ম্যাচ খেলে কিউইদের বিপক্ষে কখনই জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সেখানকার মাঠে গেলেই ব্যাটিংটা ‘দুর্বোধ্য’ হয়ে ওঠে টাইগারদের জন্য।
তবে এবার পরাজয়ের সেই ধারা ভাঙতে চান বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নতুন কিছু করে দেখাতে চান।
অধিনায়কের সেই প্রত্যয়ে সুর মেলালেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ডুনেডিনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ জয়ের প্রতিধ্বনি শোনালেন বাংলাদেশ কোচ।
যদিও মুখে বললেই যে তা হয়ে যাবে এমনটি নয়; নিউজিল্যান্ডের সবুজ উইকেটে তা করে দেখাতে হবে তামিম বাহিনীকে, যা বেশ কঠিন।
দলে কী এমন দেখছেন কোচ ডমিঙ্গো যে, শক্তিশালী কিইউদের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে জয়ের আশায় রোমাঞ্চিত তিনি।
ডমিঙ্গোর চোখে দুটো কারণ ভাসছে। এর একটি হলো— এ সফরে বাংলাদেশ স্কোয়াডে ‘উঠে আসা’ নবীন পেসারদের জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা। দ্বিতীয়টি ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের পারদর্শিতা।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ জানালেন, ‘উঠে আসা’ নবীন পেসারদের নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং কন্ডিশনে দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। নবীনদের মধ্যে রয়েছেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। দুজনই বেশ গতিময়। তাদের সেভাবে খেলেননি কিউই ব্যাটসম্যানরা।
তা ছাড়া ২৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনে ভরসা রাখছেন কোচ। আর অভিজ্ঞ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেন তো আছেনই।
সব মিলিয়ে সাতজন পেসার নিয়ে এবার নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া বাংলাদেশ এই বোলিং ডিপার্টমেন্টে ভালো কিছু করে দেখাতে পারে বলে বিশ্বাস ডমিঙ্গোর।
তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশের কোনো দল আগে যা করতে পারেনি, আমাদের জন্য তা করার দারুণ সুযোগ এবার। জানি এখানে কাজটা কতটা কঠিন। তবে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এটি বড় সুযোগ। আমাদের বেশ কজন তরুণ ফাস্ট বোলার উঠে আসছে, নিউজিল্যান্ড হয়তো ওদের আগে সেভাবে দেখেনি। আমার ধারণা, তারা হয়তো এই পেসারদের দেখার আশাও করছে না। কিন্তু ওরা দারুণ সম্ভাবনাময়। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদরা বেশ দারুণ বোলিং করছে। যে ফাস্ট বোলাররা এখন উঠে আসছে, তাদের নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।’
তিন সংস্করণের মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটই সবচেয়ে ভালো খেলে বাংলাদেশ। জয়ের সম্ভাবনা এই ফরম্যাটেই বেশি দেখছেন কোচ।
বললেন, ‘এ মুহূর্তে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আমরা বেশি শক্তিশালী। বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সের দিকে তাকান। ক্রিকেটারদের গড়ের দিকে খেয়াল করুন। ওয়ানডেতে বেশ ভালো পরিসংখ্যান আমাদের ছেলেদের। এখানে জয়ছাড়া আর কিছু ভেবে মাঠে নামি না আমরা।’
ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে দলের প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে বলে মনে করছেন ডমিঙ্গো।
বললেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার তিন দিন পরই প্রথম ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল। পরে সূচিতে পরিবর্তন আনায় সুযোগ পেয়েছে ছেলেরা। ক্রাইস্টচার্চের পর কুইন্সটাউনে দারুণ একটি সপ্তাহ কাটিয়েছি আমরা। প্রস্তুতি নিখুঁত হয়েছে। ছেলেরা সময়কে দারুণ উপভোগ করেছে। এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। আসলে গত তিন সপ্তাহে ছেলেরা যেভাবে সাড়া দিয়েছে, ওদের নিয়ে আমি গর্বিত।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শনিবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর পর ক্রাইস্টচার্চে ২৩ মার্চ ও ওয়েলিংটনে ২৬ মার্চে বাকি দুই ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ মার্চ থেকে হ্যামিল্টনে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
খুলনা গেজেট/ টি আই