রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত দোকান কর্মচারী মোরসালিন (২৬) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভোর ৪টা ৩৬ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের জেনারেল আইসিইউর ২৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া। এদিকে মোরসালিন শ্যালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মৃত্যুর বিষয়টি তিনিও নিশ্চিত করেন।
গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরের দিকে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষের সময় নুরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হয়েছিলেন মোরসালিন। পরে শাকিল ও অপর এক যুবক অচেতন অবস্থায় রিকশায় করে মোরসালিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই দিন হাসপাতালে নিয়ে আসা শাকিল জানিয়েছিলেন, ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের সময় নুরজাহান মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইটের আঘাতে মোরসালিন আহত হন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নিহত মোরসালিনের হুমাইয়া ইসলাম লামহা (৭) ও আমির হামজা (৪) নামে দু’টি সন্তান রয়েছে। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কালাই নগর গ্রামের বাসিন্দা হলেও রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার বাবার নাম মৃত মো. মানিক মিয়া।
তার স্ত্রী অনি আখতার মিতু জানান, নিউমার্কেটে একটি শার্টের দোকানে মাসে নয় হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন তার স্বামী। সেই টাকা দিয়ে তাদের সংসদ চলত। মঙ্গলবার সকালে নিউমার্কেটে কর্মস্থলের উদ্দেশে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
এর আগে একই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাহিদ হাসান (১৮) নামে এক যুবকের।
গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে আইসিইউতে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান।
সোমবার দিনগত রাতে নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মধ্যরাত পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলতে থাকলে। একই সূত্র ধরে পরের দিন মঙ্গলবার দিনভর থেমে থেমে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।