নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত নির্বাচনী ফলের শিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, নাসিক নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়া ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার ছাড়া বাকিদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এখানে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনী ফলের শিটের তথ্য অনুযায়ী, জামানত হারানো বাকি পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ১০ হাজার ৭২৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক) এক হাজার ৩০৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা প্রতীক) ২৩ হাজার ৯৮৭ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ প্রতীক) এক হাজার ৩০৯ ভোট এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন এক হাজার ৯২৭ ভোট।
আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত বাঁচাতে হলে প্রদত্ত ভোটের কমপক্ষে আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হবে। ওই পাঁচ প্রার্থী আইনের বিধিবিধান রক্ষা করতে না পারায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
মেয়রপ্রার্থীদের জামানত ছিল ৩০ হাজার টাকা। জামানত বাতিল সম্পর্কে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সাত দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ইসিতে প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি ভোটে মোট ভোটার ছিলেন পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন দুই লাখ ৯১ হাজার ৩৮২ জন। বৈধ হয়েছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৯১১ ভোট, বাতিল হয়েছে ৪৭১টি। সিটি ভোটে নৌকা প্রতীকে আইভী পেয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হাতি প্রতীকে তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।
২০১১ সালে পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন হিসেবে নাসিকের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমবার নয়টি ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবারই সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়।