ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি করেছে। সবকটি কমিটিই তদন্ত কাজ শুরু করেছে। তবে ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলা হয়নি।
পুলিশ বলছে, রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ভিসেরা এবং জব্দকৃত নাপা সিরাপটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্টে কী আসে- সেটি দেখে মামলা দায়েরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, যে ফার্মেসি থেকে নাপা সিরাপ কেনা হয়েছিল- সেই মা ফার্মেসির মালিক মো. মঈন উদ্দিন ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন। তারও সন্ধান পাচ্ছে না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
গতকাল রোববার (১৩ মার্চ) এ প্রতিবেদক আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে মঈন উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাউকে পাননি।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য সেই সিরাপ এবং ভিসেরা পাঠানো হয়েছে। বিষক্রিয়া হয়েছিল কীনা- সেটি তো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
ওসি বলেন, ঘটনার পর ভয়ে ফার্মেসির মালিক পালিয়েছে। কী কারণে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, আগে সেটি আমরা জানার চেষ্টা করছি। ফার্মেসি মালিকের কোনো অপরাধ থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। মৃতরা দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাইল হোসেন ওরফে সুজন খানের ছেলে।
খুলনা গেজেট/কেএ