দেশের ক্রিকেট পাড়ায় নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তবে এবার দল নির্বাচন নিয়ে নয়। টেলিভিশনের এক লাইভ অনুষ্ঠানে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে ‘দেশদ্রোহী’ ও ‘ফিক্সার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। এবার সেটির জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম আন্তর্জাতিক তারকা আশরাফুল।
রবিবার দিবাগত রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে আসেন এই ক্রিকেটার। সেখানে তিনি বিষয়টি নিয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনার পাশাপাশি দাবি করেন, নান্নুর কারণেই তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন না।
নান্নুকে উদ্দেশ্য করে মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘আপনার সাক্ষাৎকারেই বোঝা যাচ্ছে, আমি আপনার গুড বুকে নেই। এ কারণেই এখন সুযোগ পাচ্ছি না। সেন্স ভাই আমাদেরও কম নেই, আল্লাহর রহমতে সেটা মোটামুটি আছে। খেলা নিয়ে আমরাও সারাদিন চিন্তা করি, ছোটবেলা থেকে এখনো ঘুম থেকে ওঠে ক্রিকেট নিয়েই ভাবি। সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলবো। অন্যায় করেছি তা স্বীকার করি। আত্মবিশ্বাস আছে বলেই এখনো জাতীয় দলে খেলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ফিক্সিংয়ের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করার কারণেই অনেকের অপ্রীতির পাত্র হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘ফিক্সিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার না করলে হয়তো আজ ভিন্ন চিত্র হতো। তখন এক বছরের শাস্তি হতো এবং এখনো হয়তো জাতীয় দলে খেলতাম। আপনার কথাতে এটাই বুঝা যাচ্ছে আমি এখনো ক্ষমা পাইনি। পাশাপাশি এটাও বুঝা যাচ্ছে, বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করা ভুল হয়েছে। একেকজন কিন্তু একেক জায়গায় ভুল কাজ করছেন, চোখ-কান খোলা রাখলেই হবে।’
আশরাফুল বলেন, ‘নির্বাচক প্যানেল নিয়ে তার করা ওই মন্তব্য নান্নুর উদ্দেশ্যে ছিল না। আমি কোনো ব্যক্তির নাম বলিনি। কেবল ওই দায়িত্বের কথা বলেছি। নান্নু ভাই লাইভে সরাসরি আমার নাম ধরে আক্রমণ করলেন, যা খুবই দুঃখজনক। আমি নান্নু ভাইকে নিয়ে কিংবা কারো নাম ধরে কিছু বলিনি। যে কথাটা বলেছি তা কেবল অভিজ্ঞতা থেকে আমার মতামত।’
সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘ওনি (নান্নু) খুব সুন্দর করে একজনের উদাহরণ দিয়েছেন। আমি কিন্তু বলিনি যে নান্নু ভাইকে সরানো উচিৎ বা এমন কিছু। কেবল আমার কাছে মনে হয়েছে নির্বাচক পদ কোনো পেশা হতে পারে না। এখানে সারাজীবন থাকাটাও না, ১০-১২ বছর ধরে। এটা একটা সম্মানের জায়গা হবে। যেখানে একজন সর্বোচ্চ ৩-৪ বছর থাকবেন।’
ভুল স্বীকার করার রেওয়াজ বাংলাদেশে খুব কম মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ভুল করেছি, শাস্তিও পেয়েছি। সেটা এখন অতীত হয়ে গেছে। আমি সবকিছু নতুন করে শুরু করেছি। চেষ্টা করছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালোভাবে বেঁচে থাকার।’
খুলনা গেজেট/এনএম