ফুলতলা উপজেলা সদরে অবস্থিত একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে ২৬ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১৭ জন ডাক্তার। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে দীর্ঘদিন যাবত ডাক্তার না থাকায় এ এলাকায় বসবাসরত দেড় লক্ষাধিক লোকের স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হচ্ছে। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোর মধ্যে সার্জারী, অর্থপেডিক্স, এ্যনেসথেসিয়া, ডেন্টিস এর পদগুলো শূণ্য রয়েছে। বিশেষ করে সার্জারী ডাক্তার না থাকায় এই হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে কোন অপারেশন হয়না। এখানে ৩শ’ এমএল এর একটি এক্স-রে মেশিন থাকলে তা দীর্ঘদিন ধরে অকেজো রয়েছে। বর্তমান কাজ চালাচ্ছে মাত্র ২০ এমএল এর একটি এক্স-রে মেশিন দিয়ে। ফলে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বেশকিছু দিন পূর্ব থেকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলায় রোগীদের স্থান সংকুলানে সংকট দেখা দেয়। বর্তমানে এমনিতেই রোগীর চাপ তার উপরে আবার ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন হাসপাতালটিতে দুই একজন করে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছে। গত সোমবার পর্যন্ত এখানে ১৯ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৫ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই হাসপাতালে সাধারণ জ¦র নিয়ে আসলে সফলভাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। এখানে শুধুমাত্র এন্ডিজেনটেস্ট হয় অন্য কোন পরীক্ষা হয় না। ফলে সাধারণ রোগীরা ভোগান্তির স্বীকার হয়।
আলকা গ্রামের স্কুল শিক্ষক বাসুদেব শীল অভিযোগ করে বলেন, শনিবার তার মেয়েকে ফুলতলা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে গেলে ডাক্তাররা ডেঙ্গু পরীক্ষার সরঞ্জামাদি নেই বলে জানিয়ে দেন। ফলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে গিয়ে পরীক্ষা করতে হয়।
ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাসিবুর রহমান বলেন, ফুলতলা হাসপাতালে বিভিন্ন সমস্য থাকলেও আমরা যে কয়জন ডাক্তার রয়েছি সবাই মিলে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, হাসপাতাটিতে গাইনী, শিশু ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ থাকলেও শুধু সার্জারী ডাক্তার নেই।
খুলনা গেজেট/কেডি