পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে যখন একের পর এক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করছেন, তখন নবাবী মুর্শিদাবাদের অধীর গড়ে তৃণমূলের নেতা- কর্মীদের কিন্তু কংগ্রেসে যোগদান এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদ সভাপতি মোশাররফ হোসেন মধুসহ বেশকিছু তৃণমূল নেতা কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার বিরোধী দল নেতা অধীররঞ্জন চৌধূরী এদিন মোশাররফের হাতে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন। পরে অধীররঞ্জন চৌধূরী তার ভাষণে বলেন, তৃণমূল দল তার নীতি- নৈতিকতার জন্য তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে । কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়করা বিজেপিতে ভিড়লেও মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতারা কিন্তু সব কংগ্রেসে যোগ দেবেন। আজ তার সূচনা হল।
অন্যদিকে মোশাররফ হোসেন মধু বলেন, আমরা শুভেন্দু অনুগামী ছিলাম ঠিকই, আমরা তাকে বলে দিয়েছিলাম যে, আপনি আপনার পথ বেছে নিলেও আমরা আমাদের পুরানো দল কংগ্রেসেই ফিরে যাব। আজ তার সূচনা হলো। এরপর আরো ৪৫ জন জেলাপরিষদ সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেবেন খুব শীঘ্রই । এদিন এই যোগদান অনুষ্ঠানে বহরমপুর অজস্র মানুষ সামিল হন।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে এখনো বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়নি। কিন্তু তার আগেই প্রাথমিকভাবে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল। শুক্রবার এখবর জানালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একটা বেসরকারি টিভি চ্যানেল দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ভোটের দিনক্ষণের আগেই এই ভোটারদের মনোবল বাড়াতে এবং অবাধ- সুষ্ঠ নির্বাচন করতেই নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত । ৩৫ টি পুলিস জেলায় এই কেন্দ্রীয় বাহিনী ২ থেকে সর্বাধিক ৯ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন করতে পশ্চিমবঙ্গে ১০০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। যা ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া এবারে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন বেশি দফায় হবে। ভোটার যাতে তার ভোট ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারে কমিশন তার সব ব্যবস্থা পাকা করবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই