ঢাকার চারপাশে নদী জায়গা উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া আলোচিত বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা ও ঢাকা নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা নদীবন্দর-সদরঘাট থেকে বদলি করে মতিঝিল প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
একই সঙ্গে ঢাকা বন্দীবন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা ও সংস্থার যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবিরকে সদরঘাট থেকে প্রধান কার্যালয়ে বদলির আদেশ জারি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে তাদের সদরঘাট থেকে হেড অফিসে নেয়া হয়েছে।
তবে বিআইডব্লিউটিএ’র কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মূলত নদী দখলদারদের চাপের মুখে এ কে এম আরিফ উদ্দিনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে তুরাগ নদ দখল করে গড়ে তোলা মিরপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হকের পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ইকোনমিক জোনে উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় এ কে এম আরিফ উদ্দিনকে বদলির বিষয়ে চাপ ছিল বলে জানা যায়। ওই ঘটনার পর তাকে সরিয়ে দিতে শ্রমিকদের আরিফউদ্দিনের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছিল বলে জানা যায়।
এ ছাড়া ঢাকার চারপাশের নদী দখল করা প্রভাবশালীরা তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ মন্ত্রণালয়ে বারবার চাপ দিচ্ছিল বলে জানায় একটি সূত্র।
২০১৯ সালের ২৯ যে ডিসেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকার চারপাশের নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ।
অভিযানে এ পর্যন্ত ৫ হাজারেরও বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ। যাদের মধ্যে এমপি, আইনজীবী, বড় বড় ব্যাবসায়ীদের অসংখ্য স্থাপনা ছিল। পুরো অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ওই কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
খুলনা গেজেট/এআইএন