খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

নদীবন্দর-লঞ্চঘাটে টোল নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানীর অভিযোগ

গে‌জেট ডেস্ক

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ৪ শতাধিক ঘাটপয়েন্টে বিআইডাব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের ইজারাদাররা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই সদরঘাট নদীবন্দরসহ দেশে সবকটি নৌ-বন্দর, লঞ্চঘাটে এবং খেয়া পারাপারের স্থানগুলোতে দ্রুত অতিরিক্ত টোল আদায়ে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সদরঘাটে নদীতে নামতে-উঠতে যাত্রীপ্রতি টোল নেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী খেয়া পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের কথা বলা আছে। এখানে কেউ পরিবারের জন্য বাজার সদাই নিয়ে পারাপার হলে তাদের কাছ থেকে জোর করে ২০/৩০/৫০/১০০ টাকা হারে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএর নিয়োজিত ইজারাদাররা। অথচ এ ঘাটে ইজারাদারের নৌকায় পারাপারের যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের চুক্তি রয়েছে। দেশের নৌ-পথের যাত্রী পারাপারে এরকম লুটপাট-বাণিজ্য শুধু সদরঘাট নয়, বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাট ও খেয়া পারাপার পয়েন্টেও।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌপথে যাত্রী হয়রানী, টোল নৈরাজ্য বন্ধে বার বার নির্দেশনা দেওয়া শর্তে এটি বন্ধে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বা বিআইডাব্লিউটিএর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।

আরও বলা হয়, যাত্রীসাধারণ এমন অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। এসব ঘাটে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদারেরা এলাকার মাস্তান প্রকৃতির উশৃঙ্খল যুবকদের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে যাত্রী সাধারণ অনেকেই তাদের চাহিদামত অতিরিক্ত টোল ও অবৈধ চাঁদা দিয়ে নদী ও ঘাট পারাপার হতে হচ্ছে। অনেকের দামী মালামাল নদীর পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি মারধরের শিকার হচ্ছে। এতে করে অসহায় যাত্রী সাধারণ সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এহেন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!