আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতেই তালেবানের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা জানাল আমেরিকা।
এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেন, “তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমেরিকা, তবে তার আগে তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেদেশে কোনওভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না। বিশেষ করে নারীদের অধিকার কোনওভাবে খর্ব করা হবে না। পাশাপাশি জঙ্গিদেরও কোনওভাবে সেদেশে আশ্রয় দিতে পারবে না তালেবান।”
অন্যদিকে আফগানিস্তানের সরকার হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সরকার হিসেবে তালেবানকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে কারও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে বরিস জনসন বলেন, ‘আমরা চাই না কেউ দ্বিপক্ষীয়ভাবে তালেবানকে স্বীকৃতি দিক।’
জাতিসংঘ ও ন্যাটোর মতো সংস্থার মাধ্যমে আফগানিস্তানে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা সমমনা সবার মধ্যে একটা ঐক্যবদ্ধ অবস্থান চাই।’ আফগানিস্তান যাতে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর না হয়, সে জন্য এ ঐক্য দরকার বলে মনে করেন বরিস জনসন।
এদিকে কাবুলের একজন বাসিন্দা, আয়শা খুররম একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, আজ সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠেছেন তাদের বাসার দরজার বাইরে চিৎকার আর গুলির শব্দ শুনে। তিনি বলছেন, মানুষজন বলাবলি করছিল যে, মুজাহিদিনরা ঘরে ঘরে গিয়ে গাড়ি এবং ধনসম্পদ লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু যখনি তারা শুনতে পেয়েছে যে, তালেবান কর্মকর্তারা আসছে, তারা দৌড়ে পালিয়েছে।
এর মাত্র এক ঘণ্টা আগেই তালেবান পুনরায় নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন যে, তারা আফগান বেসামরিক নাগরিকদের কোনরকম ক্ষতি না করার জন্য যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কাবুলে প্রবেশের সময় তুলনামূলক উদার মনোভাব প্রদর্শন করেছে তালেবান।
খুলনা গেজেট/এনএম