নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুল গাফ্ফারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সোমবার (১২ মে) সকালে নড়াইল ড্রাগ সমিতি, প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক অনার্স এসোসিয়েশন এবং এলাকার সাধারণ রোগী ও জনগনের ব্যানারে জেলা হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়।
নড়াইল প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক অনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার সান্নালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক এসএম সাজ্জাদ রহমান, ড্রাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল বিশ্বাস, শামীম হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বক্তারা বলেন, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুল গাফ্ফার প্রায় ৩ বছর নড়াইলে যোগদানের পর থেকে সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালে সরকারিভাবে আল্ট্রাসনো মেশিন থাকলেও সেটিকে ফেলে রেখে তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনিক কাজ বা মিটিং বাদ দিয়ে হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত এনজিও পরিচালিত আরএইচ স্টেপে নিয়মিতভাবে অর্থের বিনিময়ে আল্ট্রাসনো করে থাকেন এবং রোগীদের সরাসরি আরএইচ স্টেপে আল্ট্রাসনোর জন্য চাপ দিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে আল্টাসনোগ্রামের প্রয়োজন না থাকলেও তিনি উৎসাহিত করে থাকেন। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের নতুন ও পুরাতন মালামাল (যেমন- রোগী বহনের জন্য ট্রলি, নষ্ট হওয়া খাট, ইসিজির কার্টিজ পেপার ইত্যাদি) এবং হাসপাতালে সরবরাহকৃত ওষুধ অন্যত্র সরিয়ে বিক্রি এবং খাদ্য সরবরাহের ঠিকদারের সাথে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে ভর্তি রোগীদের নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই জনস্বার্থে অবিলম্বে এসব অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে তাকে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহারপূর্বক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে নড়াইল জেলা হাসপাতলের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুল গাফ্ফার তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘সম্প্রতি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দালালদের হাসপাতালে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটায় আমার বিরুদ্ধে অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। হাসপাতালে আল্ট্রাসনো মেশিন নষ্ট থাকায় সরকারিভাবে পরিচালিত একটি এনজিও-এর আল্টাসনো মেশিন দিয়ে আমি সেখানে আল্টাসনোগ্রাম করি। সেটা কিভাবে পরিচালনা করবো আমার বিষয়। আর হাসপাতালের মালামাল বিক্রি করেছি কিনা তার প্রমান তারা দিক।’
খুলনা গেজেট/এএজে