খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
  ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১২ বগি লাইনচ্যুত

নগরীর জলজট নিরসনে খনন হবে ময়ুর নদের ৮ কিলোমিটার পরিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর পশ্চিম সীমানার ময়ুর নদের ৮ কিলোমিটার পরিধি খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নদের পশ্চিম প্রান্ত থেকে আলুতলার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ভরাট ও অবৈধ দখলদারদের কারণে বর্ষা মৌসূমে পানির নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে সিটি কর্পোরেশন ময়ুর নদের খননকে প্রাধান্য দিয়েছে। শুষ্ক মৌসূম এলেই খনন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটিসহ নাগরিকদের বিভিন্ন সংগঠন এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

কুয়েট, কেসিসি ও ডিডিসিআই যৌথভাবে নগরীর ৪৬ কিলোমিটার এলাকার জলজট নিরসনের জন্য তৈরি নকশায় এ দুর্ভোগের জন্য রূপসা, ভৈরব ও ময়ুর নদের সিলটেশন (পলিজমা) কে দায়ী করেছেন। নকশার অংশ হিসেবে শুষ্ক মৌসূমে ময়ুর নদ খননের কাজ শুরু হবে। নগরীর জলজট নিরসনে ৮শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এটি সরকারি তহবিলের। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়, ২০২৩ সালে তা শেষ হবে। মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল নগরীর জলজট নিরসন।

কেসিসি’র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ জানান, বর্ষা মৌসূমে জলজট নিরসনে ২২ খাল উদ্ধার করা হয়েছে। তালতলা খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে। নগরী সংলগ্ন দু’টি নদ খনন না হওয়া পর্যন্ত বর্ষা মৌসূমে এ দুর্ভোগ থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অপর এক সূত্র জানান, নগরবাসীর এ সংকট নিরসনে উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটি, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী ও আমরা খুলনাবাাসী নামক সংগঠন ময়ুর নদ খননের দাবি তুলে আসছে। ২২ খাল উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও নানা সময় দাবি তোলে।

মেয়রের ভাষ্য : মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক গত বছরের ২৬ আগস্ট বাজেট অধিবেশনে উল্লেখ করেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনে ২৬টি খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রভাবশালীরা পাকিস্তান আমল থেকে এসব খাল দখল করে আসছে। খাল খননে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এবারের বাজেটে জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় অংকের টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য : বাস্তুহারা কলোনীর অধিবাসী মো: ইউনুস আহমেদ খাঁ এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্ষার চার মাস নয় হাজার অধিবাসী হাটু পানির মধ্যদিয়ে চলাচল করে। নির্বাচনের সময় কাউন্সিলর প্রার্থীরা সবাই এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়, কেউ কথা রাখে না।

পাবলার অধিবাসী সুরাত আলী উল্লেখ করেন, ক্ষুদের খালে কচুরীপানা জন্মানোর কারণে পানি নিষ্কাশনে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। নবীনগর খালের পশ্চিম পাশে ভরাট করে বিভিন্ন ব্যক্তি স্থাপনা করেছে। নবীনগর খালের পূর্ব পাশে কেসিসি ও কেডিএ ভবন নির্মাণ করেছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!