খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কয়েকজন বিচারপতির আচরণের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে : সুপ্রিম কোর্ট
  সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিকালে
  ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জয় বাংলাদেশের

নগরীতে সড়ক-ফুটপাত জুড়ে ব্যবসার পশরা, দুর্ভোগে পথচারী

মো. ইমরান হোসেন

ফুটপাত, রাস্তা নাকি ব্যবসাকেন্দ্র; পথচারীদেন চলাচলের নির্ধারিত স্থানে পণ্যসামগ্রীর পশরা -এমন দৃশ্য মহানগরীর খুলনার। সদর থানার মোড় থেকে কেডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, হেলাতলা, বড় বাজার, সাইকেল মার্কেট, রেলওয়ে ও এস এম রব শপিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়ক জুড়ে।এসব এলাকায় পথচারিদের ফুটপাতের জায়গাও ফাঁকা নেই। রাস্তা দখল করে বহাল তবিয়তে চলতে ব্যবসা, নির্মাণ সামগ্রী সংরক্ষণ, গাড়ি পার্কিং। মাঝে মাঝে সিটি করপোরেশন বা পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।

কেডি ঘোষ রোডের পুস্তক ব্যবসায়ী ওহিদুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, এই হকারদের কারনে রাস্তায় যানযট হয়, মানুষের ভোগান্তি হয়। আমি বলবো গরীবের কর্মসংস্থান করে রাস্তা পরিষ্কার করা হোক। আমাদের সিটির কোনো পরিকল্পনা নাই।

হুজাইফা নামের এক ব্যবসায়ী বলেন ফুটপাত ক্লিয়ার রাখা জরুরি তবে কি করবো ভাই কাস্টমারেরা দোকানে ডুকে না তাই ঝুড়ি নিয়ে পন্যসামগ্রি বিক্রি করি মানুষ মনে করে যে ফুটপাতে দাম কম তাই এটা করি। অন্যায় কাজ করি সবাই করে আমি একা সাধু হলে তো আর পেটে ভাত জুটবে না।

ভ্যানের উপর বসে বিক্রি করা রিপন নামের এক ব্যবসায়ী খুলনা গেজেটকে বলেন, ১০/১২ বছর রাস্তার উপর দাড়িয়ে ব্যবসা করি । আওয়ামী সরকারের আমলে আমাদের ৩ দফায় চাঁদা দিতে হতো। এক পার্টি ৫০ টাকা, এক পার্টি ২০ টাকা ও সর্বশেষ এক পার্টিকে ১০ টাকা দিতে হতো। এখন চাঁদা দিতে হয় না, বলে হকার বেশি।

ব্যবসায়ী মুজাহিদুল ইসলাম জানান, আগের সরকারের আমলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফাঁড়ির পুলিশ থেকে টাকা নিতো। এখন আর কেউ টাকা নিতে আসে না। তাই হকার সংখ্যা বাড়ছে।

কেডি ঘোষ রোডের পথচারী নাহিদ খুলনা গেজেটকে বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। কিন্তু রাস্তা, ফুটপাত দখল করা দু:খজনক ঘটনা। আমি মনেকরি, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

সাদিয়া নামের এক পথচারী খুলনা গেজেটকে বলেন, এরা গরীব মানুষ এটা ঠিক তবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে জনগনে ভোগান্তি করা কোনো মানুষের উচিত না। বড়ো বাজার আসলে খুবই কষ্ট হয়। এতো ভিড় যে হেঁটে ভিতরের মার্কেটে ঢোকাই মুশকিল।

খুলনার নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব আ্যডভোকেট বাবুল হাওলাদার খুলনা গেজেটকে বলেন, বাজার এলাকার ফুটপাত ও মূল সড়কের একটা বড়ো অংশ অবৈধভাবে দখলকরে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। একদিকে যেমন স্থায়ী দোকানদারেরা তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে করতে ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কে চলে আসে। অন্যদিকে তাদের সেলসম্যান এবং ক্রেতাদের ভিড়ে সড়কের বড়ো অংশ অবোরদ্ব হয়ে যায় তাছাড়া মানুষ বাজার করতে আসে ইজিবাইক ও রিকশা নিয়ে এতে যানযট লেগেই থাকে এজন্য দরকার পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

খুলনার বড়ো বাজার ব্যবসায়ী সম্বনয়ক মনিরুল ইসলাম মাসুম খুলনা গেজেটকে বলেন, আমরা যারা দোকান নিয়ে ব্যবসা করি আমরা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দি ফুটপাতে তারা এমন ভাবে দাঁড়িয়ে কেনা বেচা করে মার্কেটের মধ্যে কোনো কাস্টমার ডুকতে পারে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন সিটি কর্পোরেশনের কাজটা কি তারা যদি ফুটপাত ও রাস্তা দখলকারীদের সড়াতে না পরে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)’র ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আবু তারেক খুলনা গেজেটকে বলেন, সড়ক দখল, যত্রযত্র পার্কিং, যাত্রী ওঠানামার কারণে যানজট ও পথচলায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।আমরা এ বিষয় নিয়ে কাজ করছি। দ্রুত এই সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেবো। কিন্তু প্রথমে সাধারণ নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!