ফিলিস্তিনের গাজায় বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরায়েল অসংখ্য নিষ্পাপ শিশুসহ নিরপরাধ মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে “মার্চ ফর গাজা ” উপলক্ষে খুলনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে মহানগরীর ডাকবাংলা চত্বরে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘মার্চ ফর গাজা’র সমাবেশে পাঠ করা ঘোষণাপত্রে যেসব দাবি জানানো হয়:
- জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষ থেকে ইসরাইলকে একটি অবৈধ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করতে হবে।
- গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনি নিষ্পাপ শিশু ও অসহায় মুসলমানদের আর্তনাদ ও আর্তচিৎকারে সাড়া দিয়ে বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
- মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকার সকল সামরিক ঘাটি বিলুপ্ত করে আমেরিকার সকল সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।
- ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ফিরিয়ে দিতে হবে এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদে স্বাধীন ভাবে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীর সুযোগ দিতে হবে।
- মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানগণের প্রতি দাবি ও আই সি কে শক্তিশালি ও সক্রিয় করতে হবে।
- সকল মুসলিম রাষ্ট্রের সামরিক প্রতিনিধি নিয়ে একটি শক্তিশালী পৃথক মুসলিম সামরিক বাহিনী গঠন করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সকল আগ্রাসন ও আধিপত্য বন্ধে সদা সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।
- ইসরায়েলের সাথে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সবধরনের বাণিজ্যিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
- গাজার অসহায় মাজলুম জনগণের কাছে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসাসহ সবধরনের মানবিক সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাড়াতে হবে।
- জায়নবাদি ইসরায়েলের দোসর হিন্দুত্ববাদি ভারতের সকল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকল মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিশেষ করে ওয়াকফ আইনের উপর রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন চালিয়ে ভারতে মুসলমানদের মাসজিদ মাদ্রাসা ঈদগাহ কবরস্থানসহ বিভিন্ন সম্পদ অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ও আই সি ও মুসলিম রাষ্ট্র সমুহের পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানাতে হবে এবং কার্যকর কুটনৈতিক অবস্থান নিতে হবে।
- বাংলাদেশ সরকারকে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সাথে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে এবং কোন চুক্তি থাকলে তা বাতিল করতে হবে। সেই সাথে সকল ইহুদি কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলের সকল পণ্য সামগ্রি বর্জন করতে হবে।
জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মাদ সালেহ’র সভাপতিত্বে মিছিল পূর্ব সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ।
প্রচার সম্পাদক মোল্লা মিরাজুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুশতাক আহমাদ, সহ-সভাপতি মাওলানা রহমাতুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাসিরুদ্দিন কাসেমী, সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি জিহাদুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগীয় সম্পাদক মুফতি গোলামুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আনোয়ারুল আজম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেকমত আলি, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মোঃ হারুনুর রশিদ, ইসলামী আন্দোলন খুলনা জেলার সহ-সভাপতি শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, রুপসা উপজেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি জুনায়েদ আহমদ, সহ প্রচার সম্পাদক মুফতি জাহিদুল ইসলাম হক্কানী, ইসলামী আন্দোলন খুলনা মহানগরীর সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ নাসির উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা শফিকুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাওলানা জিএম ইমদাদুল হক ও মাওলানা নূর সাঈদ জালালী প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম