খুলনা সদর থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই ৪ টি ইজিবাইক এবং ৫ টি রিক্সাসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) পুলিশের একটি টিম খুলনা মহানগরী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য পরশ (২০) এবং সাবিদ রহমান তুষার(২০)। পরশ মোংলা থানা আন্দারিয়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবিদ রহমান তুষার গোপালগঞ্জ সদর থানার কাঠিগ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা সদর থানাধীন ইকবাল নগরের বকুলতলা মোড়ের পাঁকা রাস্তা থেকে সবুজ মন্ডলে (২৪) একটি সবুজ রংয়ের ইজিবাইক ৯ জুলাই দুপুর ১ টা ৩৫ থেকে ২ টা ১০ মিনিটে এর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে সবুজ মন্ডল ঘটনাস্থলের আশে-পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ইজিবাইক চোরদেরকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন এবং চোরদেরকে খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জুলাই সবুজ মন্ডল খুলনা সদর থানাধীন ৩নং কাশেম সড়কে অবস্থানকালে তার হারানো ইজিবাইকসহ চোরদের দেখে পুলিশকে সংবাদ দিলে খুলনা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম দ্রুত হাজির হয়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য পরশ এবং সাবিদ রহমান তুষারকে মহানগরী থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কাছ থেকে সবুজ মন্ডলের চুরি হয়ে যাওয়া ইজিবাইকসহ ৪ টি চোরাই ইজিবাইক এবং ৫ টি রিক্সা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সবুজ মন্ডল বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসামিরা খুলনা মহনগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থাপনার উপর নাশকতা, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে আসামি মো. কামরুজ্জামান এর নেতৃতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দৌলতপুর থানাধীন নতুর রাস্তা মোড়ে এবং সোনাডাঙ্গা থানাধীন শিববাড়ী মোড়ে ছাত্রদের আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছিল। আসামিদের যথানিয়মে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম ও অভিযান অব্যহত আছে।