গান পাউডারসহ গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় খুলনা থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দু’ভাইকে আটক করেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার মসজিদের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। তারা দু’জনই পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা নজরুলের ছেলে।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন খান বলেন, যশোর থেকে গান পাউডার বহন করছিল নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মোহাম্মাদ আলীর ছেলে মো: খায়রুল আলম। এটা জানতে পেরে খানজাহান আলী থানাধীন পথের বাজার চেকপোষ্টের পুলিশ প্রতিটি গাড়ি তল্লাশী করে। তল্লাশীর একপর্যায়ে খায়রুলকে ৫০০ গ্রাম গান পাউডারসহ আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার জনৈক খোকন যশোর থেকে এটা তাকে আনতে বলেছে।
রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খুলনা, খানজাহান আলী থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে পূর্ব বানিয়াখামার এলাকায় খায়রুলকে নিয়ে অভিযান চালায়। পুলিশ ওই এলাকার বড় মসজিদের সামনে গাড়ি নিয়ে অবস্থান করতে থাকে। খায়রুলের সহযোগীরা গাড়িতে দেখতে পেয়ে পুলিশের ওপর অক্রমণ চালায়। তারা আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ বানিয়াখামার এলাকার জনৈক নজরুলের ছেলে ইব্রাহীম ও ইসমাইল নামে দু’জনকে আটক করে। তারা দু’জনই একটি হত্যা মামলার আসামি।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রাতে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তবে পথেরবাজার এলাকার আইসি এসআই রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে উল্লিখিত আসামিদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন, যার নং ৩৪। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, খায়রুলের বাবা একসময়ে পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল। বাবার পথ ধরে ছেলেও সামনের দিকে যাচ্ছে। তিনি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। এসময় পুলিশের সাথে কয়েকজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এমনকি গাড়ি থেকে বের হয়ে দু’জনকে রাস্তার দিকে দৌড়াতে দেখেন। কিছুক্ষণ পর আবারও পুলিশের কাছে তারা আাটক হয়। তবে কি কারণে তাদের আটক করা হয়েছে বা কি কারণে জটলা তা তিনি বলতে পারেননি। বানিয়াখামার থেকে যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে তারা সন্ত্রাসী বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।