নওয়াপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮টি কুটির শিল্প কারখানা পুড়ে গেছে। আনুমানিক ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার মধ্যরাতে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গুয়াখোলা গ্রামে পরীবাড়ী মাজার সংলগ্ন আজাদ সমিলে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে আজাদ সমিলের পেছনে কামাল হোসেনের কুটির শিল্প কারখানায় প্রথম আগুন জ্বলতে দেখা যায়। মূহুর্তের মধ্যে আগুন আশরাফুল ইসলাম শফিকের, সালমান কাজীর, হাদিউজ্জামানের, মোশারফ হোসেনের, বিকাশ দাসের, সেলিম খন্দকারের ও রফিকুল ইসলামের কুটির শিল্পে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় এলাকাবাসীর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত কুটির শিল্প মালিকরা জানান, পাশাপাশি আটটি কুটির শিল্প কারখানা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। কারখানার ভেতরে থাকা মেশিন ও সব ধণের মালামাল আগুনে পুড়ে ছায় হয়ে গেছে। আনুমানিক ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুন ঈদ আনন্দ শেষ করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কুটির শিল্প মালিকরা সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আজাদ সমিলের মালিক সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার সমিলের জমিতে পাশাপাশি থাকা আটটি কুটির শিল্প কারখানা আগুনে পুড়ে ছায় হয়ে গেছে। কুটির শিল্প মালিকরা বিভিন্ন এনজিও এবং সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে কারখানা করেছিল। তারা এখন নিঃস্ব ও নির্বাক হয়ে গেছেন।
নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার টিটব শিকদার জানান, শুক্রবার মধ্যরাত (শনিবার ১৬ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সোয়া একটার সময় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্টিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তবে এ অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই