খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র দেশে ব্যবসায় পরিবেশ নিশ্চিতের অন্যতম বাধা : সিপিডি
  সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তার স্বামীর পাসপোর্টের আবেদন স্থগিত
  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

ধ্বংসপ্রাপ্ত জেনিন শিবিরে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে দুদিন ধরে সামরিক অভিযান শেষে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর ফিলিস্তিনিরা ধ্বংসপ্রাপ্ত শরণার্থী শিবিরে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

ইসরায়েলি হামলায় শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ধ্বংসের চিত্র দেখা গেছে। এই শিবিরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি থাকেন। শিবিরের ভবনগুলোতে ইসরায়েলি হামলায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। গাড়িগুলো দুমড়ে-মুচড়ে গেছে এবং মাটিতে এখানে-সেখানে ভাঙা কাচ আর বুলেটের খোসা পড়ে আছে। এমনসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কেঁদে ফেলেন কেউ কেউ। খবর বিবিসি।

ইসরায়েলি হামলায় যে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয় তাদের স্মরণে জানাজায় এবং এক শোক মিছিলে যোগ দেয় হাজার হাজার মানুষ। এদিকে জেনিনে সংঘাত থামলেও ইসরায়েল এখন গাজায় বিমান হামলা শুরু করে। ইসরায়েল দাবি করছে ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের রকেট হামলার জবাবে তারা এই হামলা চালান।দুইদিনের এই হামলার সময় একজন ইসরায়েলি সেনাও নিহত হয়।

এদিকে বুধবার সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা থেকে ছোঁড়া ৫টি রকেট মাঝপথে ধ্বংস করে দিয়েছে। কোন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এসব রকেট হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, হামাস ব্যবহার করতো এমন একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্র তৈরির কারখানা তারা জেট বিমান থেকে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরে মানুষের ওপর চলন্ত গাড়ি তুলে দিয়ে এবং ছুরি মেরে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার সাতজন আহত হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল পশ্চিম তীরের এক ফিলিস্তিনি। একজন বেসামরিক লোক তাকে গুলি করে হত্যা করে।

হামাস এই ঘটনাকে জেনিনে ইসরায়েলের হামলার ‘স্বাভাবিক পাল্টা ব্যবস্থা’ বলে বর্ণনা করেছে। ফিলিস্তিনি নেতারা অভিযোগ করেছেন ইসরায়েল জেনিনে আগ্রাসন চালিয়েছে।

একজন ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, জেনিনের অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে এবং সৈন্যরা ঐ এলাকা ত্যাগ করেছে। জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনী এই অভিযান শুরু করেছিল সোমবার একটি ড্রোন হামলার মাধ্যমে। তারা বলেছিল, এই ড্রোন হামলার টার্গেট ছিলে ‘জেনিন ব্রিগেডের কমান্ড সেন্টার।’ হামাসসহ বিভিন্ন কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এই জেনিন ব্রিগেডের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়।

এরপর যখন শত শত ইসরায়েলি সেনা জেনিন শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে, তখন আরও কিছু ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। শিবিরের ভেতরে সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই চলে।

ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, তাদের ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করা এবং এই শিবির যে ‘একটি নিরাপদ ঘাঁটি’ সেই ধারণা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!