মুন্সিগঞ্জ সদরের ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুইজনের খোঁজ মিলেছে। তারা অন্য একটি নৌযানে করে ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়ি পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।।
আজ শনিবার (২৬ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ডুবে যাওয়া নৌযানটির তিনজন তীরে আসতে পারলেও প্রাথমিক অবস্থায় নিখোঁজ থাকেন অপর দুইজন। তবে পরবর্তীতে নিখোঁজ দুইজন সাঁতরে আরেকটি নৌযানে করে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন এবং অক্ষত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে নৌপুলিশ।
ডুবে যাওয়া নৌযানের প্রত্যক্ষদর্শী ও নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর ক্রাউন সিমেন্ট কারখানা থেকে সাড়ে সাত হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে পাবনার নগরবাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিল বাল্কহেডটি। নৌযানটি মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে ঢাকামুখী লঞ্চ এমভি জাহিদ-৩ সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেলে সেখানে থাকা পাঁচজনের মধ্যে লস্কর জুয়েল রানা, মাস্টার সুফিয়ান ও বিল্লাল সাঁতরে অপর একটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হন। তবে নিখোঁজ থাকেন সুকানি শরিফুল ইসলাম ও লস্কর নুর ইসলাম। তাদের অনুসন্ধানে অভিযান চালায় নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে কয়েক ঘণ্টা অভিযানের চলাকালে নিখোঁজ দুইজন অক্ষত অবস্থায় নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছানোর খবর আসে।
এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, বাল্কহেড ডুবির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করা হয়। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিমও পৌঁছায়। কয়েকঘণ্টা অভিযান চালানোর মাঝে নিখোঁজ দুইজন নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করের আমাদের সঙ্গে। তারা নিশ্চিত করেন অপর আরেকটি নৌযানে করে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন। তাই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় তা আটক করা যায়নি বলেও জানান নৌপুলিশের এই কর্মকর্তা।