খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খাগড়াছড়িতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৪ জন
  ভোলায় অস্ত্রসহ ইউপি চেয়ারম্যান আ ক ম নাসিরুদ্দিন নান্নু ও তার ছেলে আটক
  খুলনা জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

ধর্ষণের যত বেশি প্রচার হয়, প্রাদুর্ভাবটাও তত বাড়ে : প্রধানমন্ত্রী

গেজেট ডেস্ক

ধর্ষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমসাময়িককালে সামাজিক এই ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইদানীং ধর্ষণটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এবং প্রচারও হচ্ছে। এটার যত বেশি প্রচার হয়, প্রাদুর্ভাবটাও তত বাড়ে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) ৭০তম বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা (ধর্ষণ) রোধ করার ব্যাপক ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। আর সব থেকে বড় কথা মানুষের মাঝেও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।’ সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকের যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেন, আপনারাই থাকবেন আগামী দিনের কর্ণধার। আপনারাই দেশটাকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজকের যারা নতুন প্রজন্ম, তারাই ৪১-এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়েই আমাদের কর্মচারীরা দেশ ও জনগণের সেবা করবে, সেটাই আমার লক্ষ্য।’ নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন। বিপিএটিসির রেক্টর মো. রাকিব হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ৭০তম বনিয়াদি কোর্সের ফলাফল হস্তান্তর করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ করেন।

এবারের ৬ মাসব্যাপী কোর্সটির শেষ ১ মাস করোনার কারণে অনলাইনে সমাপ্ত করা হয়। এতে ১৬১ জন নারীসহ ৬৬৩ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী সেন্টার অব এক্সিলেন্স সনদপ্রাপ্ত হন। অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে মেহেদী হাসান কাওসার ও মুনিয়া সিরাত নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!