ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকার সেই কলেজছাত্রকে (২০) খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকার ওই কলেজছাত্রের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্মীয় অবমাননামূলক মন্তব্য করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁর গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিক্ষুব্ধরা। এর জের ধরে গত শুক্রবার ওই কলেজছাত্রের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এর পাশাপাশি এলাকার মন্দিরেও ভাঙচুর চালানো হয়।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এর আগে বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই কলেজছাত্রের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে তাঁদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে। এরপর বিকেল থেকে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য প্রভাত কুমার ঘোষ বলেন, ‘ওই কলেজছাত্রের ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে—এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা বাড়িঘরে ভাঙচুর ও মন্দিরে হামলা করেছে। এ ছাড়া বাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়েছে।’
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজগর আলী বলেন, ‘ওই কলেজছাত্র বলেছেন, ফেসবুকের ওই পোস্টটি তিনি করেননি।’ এ বিষয়ে প্রশাসন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইনগত পদক্ষেপ নেবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে, এ ঘটনার পর ওই কলেজছাত্রের বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রবীর কুমার রায় বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। ধর্ম অবমাননার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই