দ্রব্যমূ্ল্য নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে অসৎ ব্যবসায়ী মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে খুলনা নাগরিক আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার মাঠে নামলেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হচ্ছেনা। বরং এটি লোক দেখানো অবস্থার সৃষ্টি করছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সমন্বয়ক ডা. শেখ বাহারুল আলম।
তিনি বলেন, দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সৃষ্ট দূর্বিসহ অবস্থার দ্রুত অবসান প্রয়োজন। সিন্ডিকেট ও মধ্যসত্ব ভোগীদের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের এই বেহাল দশা। বিভিন্ন প্রান্তে বাজার ব্যবস্থায় যে ভয়াবহ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা নির্মূল করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি তুর ‘টিসিবি’ কে সংস্কার কাজের বিস্তৃতি বৃদ্ধি, খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালিত ‘ওএমএস’ কার্যক্রমের মধ্যে থাকা দুর্নীতি বন্ধ করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সহজলভ্য করা, রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অনৈতিক কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন, বাজার-খাদ্য মনিটরিংয়ে যুক্তদের দক্ষতা ও সততা নিশ্চিত করা, খাদ্য মজুদ আইন যুগপযোগী করা ও প্রতি জেলায় ভোক্তা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নিয়মিত গণশুনানির দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আফম মহসিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহম্দ, অ্যাডভোটের জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী, মোজাম্মেল হোসেন খান, এম এ সবুর প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক নেতারা আরো বলেন, শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যই নয়, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দামও কয়েকগুন বেড়েছে। আমদানি পণ্যের অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। ওএমএস ও টিসিবির পণ্য বিক্রির ব্যবস্থাপনার ক্রটিতে অসহায় মধ্যবিত্ত-নি¤œবিত্ত মানুষরা সুফল বঞ্চিত হন। প্রয়োজন থাকা সত্বেও তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারেন না।
খুলনা গেজেট/কেডি