চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মধ্যেই সাভারে আজ বৃহস্পতিবার খুলেছে তৈরি পোশাক কারখানা। সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে দেড় হাজার তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ। এদিকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ কার্যকর করতে সড়ক-মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট, চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
তবে বেশিরভাগ শিল্পকারখানার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে শ্রমিক পরিবহণের ব্যবস্থা না থাকায় মারাত্মক ভোগান্তির কবলে পড়েছেন সাভার-আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে নিয়োজিত শ্রমিকেরা।
বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানায় দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সতর্কতার পাশাপাশি কোথাও কোথাও রয়েছে ঢিলেঢালাভাব। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সতর্কতার অংশ হিসেবে বেশ কিছু শিল্পকারখানা শ্রমিকদের আগমন ও প্রস্থানের সময় চার থেকে ছয় পর্বে নির্ধারণ করে দিয়েছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকার এবং বিজিএমইএ’র নির্দেশনা মেনে কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে মালিক পক্ষ। গত লকডাউনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা মোকাবিলায় এবার কারখানা পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, শিল্পাঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ছাড়াও জেলা প্রশাসন, কলকারখানা অধিদপ্তর, মেট্টোপলিটন পুলিশ কাজ করছে। কোনো কারখানার মালিক যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাধ্য করব।
এদিকে, সড়কেও দেখা গেছে ঢিলেঢালাভাব। প্রয়োজন ছাড়াই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে অনেকেই ঘুরতে বেরিয়েছেন। কাঁচা বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতেও উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি।
সাভার উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ-আল-মাহফুজ বলেন, ‘সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তারপরেও অনেক মানুষজন বিনা প্রয়োজনে বাসার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ‘তাই সর্বাত্মক’ লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে কাজ করা হচ্ছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে বেশকিছু ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় সচেতন করতে মাস্ক বিতরণ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।
খুলনা গেজেট/এনএম