দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিক পাড়া গফফারের টাওয়ারের নীচে পুকুর থেকে রোহান (২১) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে দশটার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রোহান একই এলাকার হাসান খান সেন্টুর ছেলে।
জানা যায়, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বাড়ি থেকে বের হয় রোহান। দুই দিন অতিবাহিত হলেও সে আর ঘরে ফেরেনি। সোমবার (৩০ অক্টোবর) ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে রোহানের মা দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি করার একদিন পরেই মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক পৌনে ১০ টার দিকে নিহত রোহানের বাড়ি সংলগ্ন দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা উঃ বণিকপাড়া গফফার মাস্টারের পুকুরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে পার্শ্ববর্তী লোকজন এবং তার স্বজনরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে তার স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে। নিহতের পরনে জিন্সের প্যান্ট ছিলো।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) সোনালী সেন, দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দৌলতপুর থানা পুলিশের এসআই মো. বদিউর রহমান বলেন, গত ২৮ অক্টোবর রোহান নিখোঁজ হয়। আজ সকালে শিশুরা দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিকপাড়া এলাকার একটি পুকুরের পাশে খেলা করছিল। এ সময় তাদের খেলার বল পুকুরে পড়লে আনতে গিয়ে রোহানের মরদেহ ভাসতে দেখে। তারা স্থানীদের বিষয়টি জানায়।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রোহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। রোহান আগে স্থানীয় একটি জুটমিলে কাজ করতো বলে জানিয়েছেন তিনি।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন খুলনা গেজেটকে বলেন, নিহতের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/এনএম/এমএম